বাংলাদেশ, প্রবাস

ভিয়েতনাম থেকে ফিরছে আটকে পড়া ১৫০ বাংলাদেশি কর্মী

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ১০ই আগস্ট ২০২০ ১০:১০:২৬ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কাজ নেই বা কোন শ্রমবাজার নয়। তারপরেও  বিএমইটির ছাড়পত্র নিয়েই সম্প্রতি ভিয়েতনাম পাড়ি দিয়ে সেদেশে  আটকা পড়েন কয়েকশ বাংলাদেশি। ভিডিও বার্তায় তারা দেশে ফেরার আকুতি জানায়। যা প্রচার হয় দেশের গণমাধ্যমে। 

তাদের মধ্যে ১৫০ জন আটকে থাকা বাংলাদেশিকে ইউএস বাংলার একটি চার্টাড বিমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় দেশে ফেরত আনছে ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড। যার খরচ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে অভিযুক্ত ৬ টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'বিমান ভাড়া আমরা কল্যাণ বোর্ডের ফান্ড থেকে দিয়ে দিব। রিক্রুটিং এজেন্সি এই টাকাটা আবার কল্যাণ বোর্ডের ফান্ডে দিয়ে দিবে। যে সকল রিক্রুটিং এজেন্সি এই নিয়ম মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব। তাদের জামানত বাজেয়াপ্তসহ লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা নিব।'

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের তদন্তে এসব এজেন্সির নাম উঠে আসে। যারা কাজের নাম করে ৪৮জন শ্রমিককে ভিয়েতনামে পাঠায়। এজেন্সিগুলো হচ্ছে। মেসার্স মাম এন্ড মাম ওভারসীজ, মেসার্স আফিফ ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স ইস্তেমা ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি, মেসার্স সন্ধানী ওভারসীজ লি., মেসার্স এ ঝর্ণা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স মুন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল।

তবে এর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে যেসব এজেন্সির নাম ওঠে আসে সেসব অনেকগুলোর নাম নেই মন্ত্রাণালয়ের করা তালিকায়। কাজের খোঁজে ভিয়েতনামে গিয়ে আটকে পড়া ১৫০ বাংলাদেশি কর্মীকে ফেরত আনা হচ্ছে।  ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের সহায়তায় এসব শ্রমিক ফেরত আসছে।  তবে সব খরচ বহন করবে অভিযুক্ত এজেন্সিগুলো।  খরচ না দিলে দিলে জামানত এমনকি লাইসেন্সও বাতিল করার কথা জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

এদিকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে ২০০৭ সাল থেকে বৈধভাবে মোট ১২৭৫ জন কর্মী গেছেন ভিয়েতনামে। কিন্তু সেদেশের দূতাবাস বলছে, ভিয়েতনামে কাজের কোন সুযোগ নেই, শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে সেদেশের সাথে কোন চুক্তিও নেই। এমনকি কর্মী পাঠানোর বিষয়টি দূতাবাসকেও অবহিত করে না বিএমইটি। এ প্রসঙ্গে ভিয়েতনাম দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ জানান, 'ভিয়েতনামে শ্রমবাজার বা বাংলাদেশের সঙ্গে কোন চুক্তি নাই। ভিয়েতনাম থেকেই বাইরে কাজ করতে যায়। এটা বাংলাদেশিদের জন্য শ্রম বাজার না।'

শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে সে দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেয়া ও কর্মী বিদেশ যাওয়ার পর দূতাবাসে নিবন্ধন করার কথা বলা হয়েছে অভিবাসন নীতিমালায়। 

আরও পড়ুন