যারা ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে কিংবা এর সঙ্গে জড়িতদের যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ‘মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয়ে গৃহীত কার্যক্রম’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।শুনানিতে হাইকোর্ট জানায়, একটি প্রতিষ্ঠানে একবারের বেশী ভেজাল ওষুধ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা উচিত।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
প্রতিবেদন দাখিলের পর মামলার শুনানির সময় আদালত বলেন, ‘একই ফার্মেসিতে একাধিকবার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেলে নিয়মিত মামলা দায়ের করতে হবে। ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ফার্মেসির বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা পর্যাপ্ত নয়। ভেজাল ওষুধের সঙ্গে জড়িতদের যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।’
এর আগে ওষুধ প্রশাসনকে বাজারে থাকা ভেজাল ওষুধের বিষয়ে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে পরিচালিত অভিযানের প্রতিবেদন মঙ্গলবার হাইকোর্টে দাখিল করে ওষুধ প্রশাসন।