অর্থনীতি, বিশেষ প্রতিবেদন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ভোক্তা অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে মোবাইল ইন্টারনেটকে ভ্যাটমুক্ত করার দাবি

আবু বকর

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ২৯শে মে ২০২১ ১১:০২:২১ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মোবাইল ফোন যারই হোক- ধনী বা দরিদ্রের, ১০০ টাকার কথা বললেই সরকার রাজস্ব নিচ্ছে ৩৩ টাকা ২৫ পয়সা। একই পরিমাণ টাকার ইন্টারনেট ডেটা খরচ করলে সরকার পাচ্ছে ২১ টাকা ৭৫ পয়সা।

ডিজিটাল সব সেবাই নির্ভরশীল ইন্টারনেটের ওপর। তাই আসছে বাজেটে মোবাইল ইন্টারনেটকে ভ্যাটমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে টেলিকম কোম্পানিগুলো।

রবি আজিয়াটার হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম জানান, ডেটা কানেক্টিভিটির ওপর যেন কোন রকম ভ্যাট না থাকে এবং সেটি তুলে নেয়া হয়। এর মাধ্যমে ভোক্তার আরও অন্তর্ভুক্তি বাড়বে।

প্রতিটি মোবাইল সিম বিক্রিতে ট্যাক্স লাগছে ২০০ টাকা, সঙ্গে আছে ২ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স। আসছে বাজেটে এটি যৌক্তিক অবস্থানে নেয়ার দাবি করে বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান বলেন, 'মোবাইল পরিষেবার ওপর ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং সিম প্রতি ২০০ টাকা ভ্যাট যদি হ্রাস করা হয় তাহলে স্বল্প আয়ের অনেক মানুষ ডিজিটাল সুবিধা গ্রহণে আগ্রহী হবে।'

অ্যামটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এস এম ফরহাদ বলেন, 'প্রোফিট করছেনা এমন মোবাইল সেবাদাতাদেরও ২ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিতে হয়। এটাকে প্রত্যাহার করার জন্য সুপারিশ করছি, সেটা সম্ভব নাহলে এটা যেন অন্তত যৌক্তিক করা হয়।'

এদিকে ট্যাক্স হলিডে বাড়ানো, ডিজিটাল লেনদেনকে ভ্যাটমুক্ত করা, আইসিটি সেবায় উৎসে কর প্রত্যাহার এবং দেশের বাইরেও আইসিটি ব্যবসার সুযোগ বাড়াতে  তহবিল দাবি করেছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।

বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে আইটি ও সফটওয়ার ব্যবসার ট্যাক্স হলিডে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ডিজিটাল লেনদেন সর্ম্পূণভাবে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা, আইটি সেবার ওপর অগ্রিম ভ্যাট বা উৎসে কর প্রত্যাহার এবং দেশের সফল আইটি প্রকল্প বিদেশে রেপ্লিকেট করতে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, 'বাংলাদেশের অনেকগুলো আইটি কোম্পানি এনআইডি কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো বড় বড় প্রোজেক্ট করেছে। এগুলো যদি আমরা বিদেশে রেপ্লিকেট করতে পারি বিশেষ করে অনুন্নত দেশগুলোতে। বাংলাদেশ সরকার সেদেশের সরকারকে টাকা দেবে ঐ নির্দিষ্ট প্রজেক্টটি করার জন্য, এখানে শর্ত থাকবে প্রোজেক্টটি বাংলাদেশী কোন আইটি কোম্পানিকে দিয়ে করে নিতে হবে। তাহলে টাকাটাও ফেরত আসবে আবার আমাদের কোম্পানিগুলোরও বিদেশে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়ে যাবে। এটার জন্যই আমরা ৫০০ কোটি টাকার একটা বরাদ্ধ এবারের বাজেটে রাখতে বলেছি।'

ইন্টারনেট সেবা দিলেও আইএসপিরা পাচ্ছে না ট্যাক্স হলিডের সুবিধা। নতুন বাজেটে তাদের জন্যও একই সুযোগ বা কর ছাড়ের দাবি আইসিটি ব্যবসায়ীদের।

আরও পড়ুন