পহেলা বৈশাখ আসতে বাকি আর মাত্র পাঁচদিন। মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে তাই সরব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। করোনার বিরতির পর শোভাযাত্রার আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পেরে আনন্দিত চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
করোনার প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চালুকলায় ছিল না পহেলা বৈশাখের কোন আয়োজন। গেল বছর মাত্র ১০০ জনকে নিয়ে ছিলো প্রতীকী অনুষ্ঠান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় এবার, 'তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে, মলিন মর্ম মুছায়ে', এই প্রতিপাদ্যে আয়াজিত হতে যাচ্ছে বাঙালির প্রাণের আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা।
১৯৮৯ সাল শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে পায় বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি। মুখোশ, প্যাঁচা, হাতি, ঘোড়া, ট্যাপা পুতুল, পাখি, আর রাজা রানীর রঙ ও মোটিফে এবার আনা হচ্ছে কিছুটা নতুনত্ব।
আয়োজকরা বলছেন, 'খুব বেশি সময় আমাদের হাতে নেই। এখন দিনরাত মিলিয়ে এক সঙ্গে কাজ করছি। মোটিভ, ডিজাইনে কিছু কিছু পরিবর্তন এসেছে।'
মঙ্গল শোভাযাত্রা মানুষকে আহবান জানায় ধর্ম, শ্রেণি নির্বিশেষে মিলিত হবার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন বলেন, 'আমাদের ধরণটা একটু ভিন্ন। আমরা মানুষকে আহ্বান করি মিলিত হবার জন্য। মানুষের মধ্যে মানুষের ভেদাভেদ দূরত্ব তৈরি করা না। ফলে এটা কোভিড পরিস্থিতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।'
লোকশিল্পের নানা উপাদান ফুটিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু করে স্মৃতি চিরন্তন ঘুরে এসে শেষ হবে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা।