জাতীয়, প্রবাস

মরিশাসে বাংলাদেশি নারী কর্মী ধর্ষণ, মামলা তুলে নিতে চাপ

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:৩০:৫৩ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মরিশাসে বাংলাদেশি নারী কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে একই কোম্পানি থেকে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারীর বাবা। অভিযুক্ত ফায়ার মাউন্ট কোম্পানির মালিক অনিল কোহলির বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নারী কর্মী ধর্ষণের এমন অনেক ঘটনার সত্যতার কথা জানিয়েছেন ওই কোম্পানিতে কাজ করে দেশে ফেরা আরেক বাংলাদেশি কর্মী।

বাংলাদেশি নারী কর্মী ধর্ষণের ঘটনায় পূর্ব আফ্রিকার দেশ মরিশাসের ফায়ারমাউন্ট টেক্সটাইল কোম্পানি এখন আলোচনার বিষয়। ওই কোম্পানির মালিকের ধর্ষণের শিকার ওই নারী কর্মী দেশে ফিরে মামলা করলেও একই কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন তার বাবা। সেখানে কোম্পানির মালিক অনিল কোহলির প্ররোচনায় পুলিশ আটক করে তাকে। কোম্পানিতেও হতে হয় নানা ধরনের নির্যাতনেন শিকার। নানা হয়রানির শিকার হয়ে ৩১ আগস্ট দেশে ফিরেছেন তিনি।

এর আগে, দেশে ফিরতে আইনজীবীর মাধ্যমে দু'দফায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন ওই নারী ও তার বাবা। সেসব আবেদনে তারা কোম্পানির মালিকের নির্যাতন ও মেরে ফেলার অভিযোগ করেছিলেন।

অন্যদিকে, ফায়ার মাউন্ট কোম্পানির মালিক অনিল কোহলির বিরুদ্ধে নারী কর্মী ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা তুলে ধরেছেন আরেক বাংলাদেশি কর্মী। যিনি ১০ বছর ফায়ারমাউন্ট কোম্পানিতে কাজ করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন।

মরিশাসে অভিযুক্ত বাংলাদেশি দালাল শাহ আলম অসহায় বাংলাদেশিদের সুযোগ নিয়ে সুদের কারবার করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আর রাজধানীর রামপুরা থানায় ওই নারী কর্মীর দায়ের করা ধর্ষণ ও মানবপাচার মামলায় মরিশাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, মরিশাসের মানবাধিকার সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাগুলোর সহায়তা চান ভুক্তভোগীর আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মরিশাসের ফায়ার মাউন্ট কোম্পানিতে যোগ দেন বাংলাদেশি ওই নারী কর্মী। ডিসেম্বরেই ফিরে আসেন তিনি। এসে ওই কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। রামপুরা থানায় ধর্ষণ ও মানবপাচার আইনে মামলা করেন। তার ছবি প্রকাশ করায় মরিশাসে থাকা বাংলাদেশি দালাল শাহ আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন