শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরতে ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সকাল থেকেই যানবাহনের দীর্ঘ সারি। চাপ বেশি থাকায় ধীর গতিতে যানবাহন চলায় তৈরি হয়েছে যানজট। এছাড়া তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঘাটে পারের অপেক্ষায় অনেক যানবাহন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মির্জাপুরের গোড়াই থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত থেমে থেমে চলছে যানবাহন। ঈদে ঘরমুখো মানুষদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
এই মহাসড়কের গাজীপুর অংশ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও সৃষ্টি হয়েছে যানজট। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। কোন যানবাহনেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় তীব্র স্রোতে ব্যহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। ঘাট এলাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকা যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।
এছাড়া, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষের ঢল নেমেছে রাজবাড়ি-দৌলতদিয়া ঘাটে। এ রুটে নদী পারের অপেক্ষায় শতশত মোটরসাইকেল। তাছাড়া করোনার ঝুঁকিতেই ঘরমুখো যাত্রীদের স্রোত রয়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী নৌপথে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে প্রায় মাসখানেক ধরেই নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দিনের বেলায় সীমিত আকারে ফেরি চললেও স্রোতের কারণে রাতে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে নদী পারাপারে তিন গুণের বেশি সময় লাগছে।