বাংলাদেশ, জাতীয়, রাজনীতি

মাথায় সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে আহত ডা. মুরাদ

ফারুক

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৩ই মে ২০২২ ০২:১৮:০৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মাথায় সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি।

বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। তবে তার আঘাত শঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. দেবাশীষ রাজবংশী জানান, রাত ৮টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি তার বাড়িতে যাই। ফ্যান পড়ে তার কপালের ডানদিকে কেটে গেছে। পরবর্তীতে তার কপালে ৩টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে স্ট্যাবল ছিলেন। তার আঘাত শঙ্কাজনক নয়। তিনি বাড়িতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এমপি দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির বৈঠকখানায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। এসময় সিলিং ফ্যান মুরাদ হাসানের কপালের ওপর পড়ে। এতে কপাল ফেটে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খবর দেয়া হয়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসক এসে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে গত বছরের নভেম্বরে সমালোচিত হন মুরাদ হাসান। ওই সমালোচনার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ফোনালাপের আরেকটি অডিও ফাঁস হয়। সেখানে এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। দলীয় পদও কেড়ে নেওয়া হয়।

৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি। কিন্তু কানাডায় ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি। ফেরার পথে দুবাই ঢোকার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন মুরাদ। শেষ পর্যন্ত ১১ ডিসেম্বর ফেরেন দেশে। এরপর নিভৃতেই চলাফেরা করছেন ডা. মুরাদ হাসান।

জানা গেছে, মুরাদ ঢাকা থেকে সরাসরি সড়ক পথে সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এসে পৈতৃক বাড়িতে অবস্থান করেন। প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় ফেরেন। সরিষাবাড়ীতে অবস্থানের সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসেও যাতায়াত করেন না।

তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে তাকে নিয়ে এখনও ক্ষোভ বিরাজমান। তাদের প্রত্যাশা, বিতর্কিত এই ব্যক্তি যেন আর কখনও সরিষাবাড়ীর মাটিতে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারেন। তাদের মতে, মুরাদের ইস্যুতে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে। তার নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে সরকারকেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে।

আরও পড়ুন