বাগেরহাটের রামপালে শিশু শিক্ষার্থীকে হাত বেঁধে মাদ্রাসা ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে শারীরিক নির্যাতন করায় এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২১ মার্চ) সকালে, রামপালের শ্রীফলতলা জে জি আর হাজী আরিফ হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পিতা রবিবার রাতে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নির্যাতনকারী মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। নির্যাতনের শিকার মো. শুকুর শেখ (১১) ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। আটককৃত হাফেজ সৈয়দ মো. ওসমান গনি একই মাদ্রাসার শিক্ষক।
নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থীর পিতা মো. মনি শেখ জানান, আমার ছেলে মো. শুকুর শেখকে কোরআনে হাফেজ করতে গ্রামের বাড়ি গাববুনিয়া থেকে আধা কিলোমিটারেরও কম দূরত্বের পার্শ্ববর্তী শ্রীফলতলা জে জি আর হাজী আরিফ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ভর্তি করি। সে মাদ্রাসায় থেকেই হেফজ পড়ে। শনিবার (২০ মার্চ) রাতে ছেলেটি বাড়িতে এসে ভোরেই মাদ্রাসায় চলে যায়। মাদ্রাসায় যাওয়ার পরপরই কেন বলে যাওয়া হয়নি, এই অভিযোগে প্রথমে মাদ্রাসা শিক্ষক সৈয়দ মো. ওসমান গনি বেত দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে। পরে হাত বেঁধে মাদ্রাসা ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে আবারো নির্যাতন করেন। এত আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। লোকমুখে এ খবর জানতে পেরে মাদ্রাসা থেকে ছেলেকে উদ্ধার করি। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ সৈয়দ মো. ওসমান গনিকে আসামি করে রবিবার রাতে শিশু নির্যাতন দমন আইনে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করি। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুদ্দিন জানান, উপজেলার শ্রীফলতলা জে জি আর হাজী আরিফ হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিশু শিক্ষার্থীর পিতা মো. মনি শেখ তার ছেলেকে মারপিটসহ আড়ায় ঝুলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় রবিবার রাতে শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই দ্রুত অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক হাফেজ সৈয়দ মো. ওসমান গনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট স্বপন কুমার সরকার আসামিকে কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন।