গুপ্তচর মাসুদ রানাকে নিয়ে আইনী লড়াইয়ের এগিয়ে আছেন লেখক শেখ আব্দুল হাকিম। মাসুদ রানা চরিত্রের অন্যতম লেখক হিসেবে শেখ আব্দুল হাকিমের দাবির পক্ষে স্বাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েছে কপিরাইট অফিস।
দুর্ধর্ষ গুপ্তচর চরিত্র মাসুদ রানা। সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত মাসুদ রানা সিরিজের লেখক হিসেবে কাজী আনোয়ার হোসেনের নাম থাকলেও শেখ আব্দুল হাকিমসহ কয়েকজন লেখক দাবি করছেন মাসুদ রানার গ্রন্থস্বত্ব। অবশ্য এ দাবির পরও প্রাপ্য টাকা না পেয়ে শেখ আব্দুল হাকিম বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে অভিযোগ করেন।
কথাসাহিত্যিক শেখ আব্দুল হাকিম বলেন, 'খুব আনন্দ হচ্ছে, সেবা প্রকাশনীতে আমি যা কিছু লিখেছি এটা তার স্বীকৃতি। তাতে আমি জিতেছি। আরেকচা যুদ্ধ শুরু হবে, আমাকে আমার ন্যায্য পাওনা পেতে হবে। আমাকে বিনয়ী হবার সুযোগ দিন।'
এই অভিযোগের বিপরীতে সেবার প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেনের আইনজীবী জানান শেখ আব্দুল হাকিম সেবায় চাকরিরত অবস্থায় যা লিখেছেন তা সেবা প্রকাশনীর সম্পদ। কিন্ত কপিরাইট আইন এবং তৎকালীন সেবা প্রকাশনীতে কর্মরত লেখকদের বক্তব্য অনুসারে শেখ আব্দুল হাকিম মাসুদ রানা, কুয়াশাসহ বেশ কিছু গ্রন্থের রচয়িতা।
কপিরাইট অফিসের রেজিস্টার জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, 'উনি লেখক হিসেবে পাণ্ডুলিপি জমা দিয়ে এককালীন পারিশ্রমিক নিতেন। কয়েকটি বইয়ে আবার ওপরে প্রচ্ছদে থাকতো কাজী আনোয়ার হোসেন আর ভিতরে আবার লেখা থাকতো শেখ আব্দুল হাকিম। বিক্রিত বইগুলো যেন আর প্রকাশ না করেন ও বিক্রয় যেন না করেন। উনার রেজিষ্ট্রেশনকৃত যত বই আছে সেগুলো বিক্রি করে এ পর্যন্ত কত টাকা পেয়েছেন তার একটি হিসাব বিবরণী ৩০ দিনের মধ্যে কপিরাইট অফিসে দাখিল করতে হবে।'
কপিরাইট অফিস শেখ আব্দুল হাকিমের দাবীকরা ও তালিকাভুক্ত বইগুলোর প্রকাশ ও বানিজ্যিক স্বত্ব গ্রহণ বন্ধ রাখার আদেশ দেয়। সেইসাথে কাজী আনোয়ার হোসেনকে ৩০ দিনের মধ্যে বই বিক্রির পরিমাণ ও বিক্রয় মূল্যের হিসাব দাখিলের আদেশ দেয়া হয়।