পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের চারিত্রিক স্খলনের বিষয়টি অজানা ছিলো না স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে মিতু চারবার আত্মহননের পরিকল্পনা করেন। তবে, দুই সন্তানের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে সেই পথ থেকে ফিরে এসেছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। স্বামীর পরিকল্পনায় হত্যা করা হয়েছে মিতুকে, সেই অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে এখন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল।
২০১৬ সালে চট্টগ্রামে খুন হওয়া মিতু হত্যাকাণ্ড পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে নিয়েছে নতুন মোড়। মামলার বাদী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার এখন নিজেই প্রধান আসামি।
তদন্তের ধীরগতিতে অনেকটাই ভুলতে বসা মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার শুধু প্রধান আসামিই নন, মামলাকে কেন্দ্র করে আবারো জনসম্মুখে আসা ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মিতুর মা শাহিদা মোশাররফ জানান, গায়েত্রীর সঙ্গে বাবুল আক্তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এ নিয়ে মিতু কিছু বললেই বাবুল তাকে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিতেন।
এ বিষয়ে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন জানান, বাবুল আক্তারের সঙ্গে গায়ে গায়েত্রীর সম্পর্কের সূত্রপাত ২০১৩ সালে। এরপর কক্সবাজারের এসপি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেখানে কর্মরত এনজিওকর্মী গায়েত্রীর সঙ্গে বাবুলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি মিতু জানতে পেরে আপত্তি জানালে ভিন্ন পরিকল্পনা করেন তৎকালীন কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার। পরবর্তীতে গায়েত্রীও বাবুল আক্তারকে ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ মিতুর বাবার।
এদিকে, মিতুকে হত্যা করার পর, বাবুল আক্তার তিনটি বিয়ে করেন। এরইমধ্যে, দু'জনের সঙ্গে বিচ্ছেদও হয়েছে তার। ২০১৩ সাল থেকে বাবুল আক্তারের পরিবার মিতুকে অত্যাচার করতো বলে অভিযোগ পরিবারের। দুই নাতি-নাতনিকে দূরে সরিয়ে রাখার আক্ষেপও তাদের।
আদালতে মিতু হত্যার প্রকৃত খুনিদের উপযুক্ত শাস্তি হবে প্রত্যাশা পরিবারের।