রাজনীতি, জেলার সংবাদ

মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর দলীয় কোন্দলে উত্তপ্ত সিরাজগঞ্জ আ.লীগ

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ৭ই জুলাই ২০২০ ০৯:২৭:১৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

নাসিমের স্মরণ সভায় যাওয়ার পথে হামলায় ছাত্রলীগ নেতা বিজয় নিহত।

মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর আধিপত্য নিয়ে উত্তপ্ত সিরাজগঞ্জ আওয়ামী লীগ। ঘটছে একের পর এক হামলা ও সংঘর্ষ। নাসিমের স্মরণসভায় যাওয়ার পথে হামলায় নিহত হয় ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয়। আর বিজয়ের স্মরণসভায় ঘটেছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কয়েক দফা সংঘর্ষ, আহত হয়েছে অর্ধশত।  

দলের একাংশের দাবি, সাবেক মন্ত্রীর মৃত্যুর পর দলের একটি অংশ নিজেদের অবস্থান জানান দিতে অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। আর ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।  

২৬শে জুন মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জেলা ছাত্রলীগ। অনুষ্ঠানে আসার পথে বাজার স্টেশন এলাকায় এনামুল হক বিজয়ের মাথায় কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। ১০ দিন লাইফ সার্পোটে থাকার পর রবিবার সকালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

এরপর থেকে দলে ঢুকে পড়া সন্ত্রাসীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করছে সিরাজগঞ্জ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজয়ের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে কয়েক দফা সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়।  
 
এরআগে, ২৮শে জুন রায়গঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এছাড়া বেলকুচিতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। বাতিল করা হয় উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি।  
 
স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দলের প্রকৃত নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। দোষীদের শাস্তি দাবি করে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করার অনুরোধ জানান, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব খোকা বলেন, যাদের নামে অভিযোগ এসেছে তাদের ইতিমধ্যেই সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদেরকে সবার সামনে আনা হোক।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন,যে ঘটনাটি ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। তদন্তের মাধ্যমেই প্রকৃত খুনীরা বেড়িয়ে আসবে। এই ঘটনাকে সামনে নিয়ে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন প্রতিহিংসায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চান জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। তিনি বলেন, এসব ঘটনা রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক নাকি অভ্যন্তরিন তা এখনো বলা যাচ্ছে না। এসব দেখে আমাদের মনে হচ্ছে প্রতিহিংসার কারণেই এসব ঘটছে।এরা রাজনীতির জন্য কলঙ্ক।

আরও পড়ুন