ভালো জাতের আমের মৌসুম শেষ হলেও দিনাজপুরের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে গৌড়মতি আম।
দাম বেশি হওয়ায় দিনাজপুর জেলায় গৌড় মতি আম চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের। জেলার বীরগঞ্জ, কাহারোল, বোচাগঞ্জ ও পাবর্তীপুর উপজেলায় বেশ কিছু গৌড় মতি আমের বাগানও গড়ে উঠেছে। সব চেয়ে বড় বাগানটি রয়েছে পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের বছিরবানিয়া গ্রামে।
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার আবু রেজা প্রামাণিক। তার ৫টি প্লটে ১২শ' গৌড়মতি আমের গাছ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনলাইনে অর্ডার নেয়া আম তিনশ' টাকা কেজি দরে পাঠানো হচ্ছে ক্রেতাদের ঠিকানায়। এ সময় বাজারে অন্য আম না থাকায় এই আমের চাহিদা অনেক। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া যাবে এই সুস্বাদু আম।
গৌড়মতির এক একটি গাছে প্রায় দুই মণ আমের ফলন হয়। তবে, এবার শিলা বৃষ্টির কারণে অর্ধেকের বেশি আম নষ্ট হয়ে গেছে। এরপরও বাগানের ৬শ' গাছ থেকে প্রায় দুইশ' মণ আম পাওয়ার আশা বাগান মালিকের।
বাগানের পরিচর্যা, আম প্যাকেটজাত করা এবং সরবরাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন প্রায় ৭ থেকে ৮ জন শ্রমিক। মৌসুম শেষেও কাজের সুযোগ পেয়ে খুশি তারা। বিলম্বিত জাতের জাতের এই গৌড়মতি আম চাষ কৃষকের জন্য লাভজনক বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।
রাজশাহীর সোনামসজিদ উপজেলার গৌড় নামক স্থানে প্রথম এই গৌড়মতি আমটি আবিস্কার হয়। জায়গার সাথে মিল রেখে এই আমের নামকরণ করা হয়েছে। ছোট আঁটি, পাতলা খোসা, আঁশমুক্ত এবং খেতে সুস্বাদু এই গৌড়মতি আম।