বিলুপ্ত প্রায় দেশিয় মাছ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রথমবারের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মাছের জিন ব্যাংক। দেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও মাছ উৎপাদনে এই জিন ব্যাংক কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
দেশে মিঠাপানির ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৬৪টি মাছ বিলুপ্তপ্রায়। তবে এরই মধ্যে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ২৪ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় দেশি মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এবার সেখানে মাছের জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।
প্রান্তিক মাছ চাষিদের কাছে বিভিন্ন রকম প্রজাতির মাছের পোনা পৌঁছে দিতে জিন ব্যাংক সময়াপোযোগী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, 'গ্রামের একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত মাছের পোনা-চারা-বীজ পৌঁছে দেবো। যাতে বাংলাদেশের শেষ প্রান্ত থেকে শুুরু করে শহর পর্যন্ত বাঙালির যে সকল পরিচিত নিজস্ব মাছ ছিলো, সে মাছগুলো সর্বত্র যেন সহজলভ্য হয়ে যায়। মাছের উৎপাদন ও বিপণন প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত আছেন তাদের জন্য সরকার সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে। যাতে বাংলাদেশে আর কখনো মাছের অভাব না হয়।'
এই জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কারণে দেশের খালে বিলে আবার দেশি মাছ দেখা যাবে, বলে আশাবাদী গবেষণা ইনস্টিউটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ। তিনি বলেন, 'আমাদের এখন বিস্তীর্ন জলাশয়ে যে মাছগুলো আছে এগুলো অনেক সময় খুঁজে পাওয়া ও সংগ্রহ করা কষ্ট হয়ে যায়। আমাদের যদি একটা জিন ব্যাংক থাকে, যদি কোন মাছ কখনো হারিয়ে যায় সেটা আমরা মাল্টিপ্লিকেশন করে চাষাবাদের আওতায় আনতে পারবো।'
এক সময় শুধু ময়মনসিংহে স্বাদু পানির মাছ সংরক্ষণ করা হতো। এখন বগুড়ার সান্তাহার, নীলফামারির সৈয়দপুর ও যশোরের উপকেন্দ্রে দেশিয় মাছ সংরক্ষণে গবেষণার কাজ চলছে।