বাংলাদেশ, রাজনীতি

যেনতেন নির্বাচন হতে দেবে না বিএনপি: গয়েশ্বর

ফারুক

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৩ই মে ২০২২ ০২:৪৫:০৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

যেনতেন নির্বাচনে যাবে না বিএনপি, হতেও দিবে না। সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এলডিপির অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এ সময় জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আহবান জানান তিনি। গয়েশ্বর বলেন, জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ হয় তখন যে কোন কাজ ফলপ্রসু হয়। বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদি চরিত্রের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এসময় এলডিপি নেতারা জানান, অলি আহমেদের তত্ত্বাবধানে এতদিন থমকে ছিল এলডিপি, মেধাশূন্য নেতৃত্বে অভিভাবকহীন ছিল রাজনৈতিক দলটি। মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম ও সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে ২০ দলীয় শরিক দল এলডিপি। 

গয়েশ্বর বলেন, আমরা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাব না। তবে যেনতেনভাবে আরেকটি নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। জনতার শক্তির কাছে কোনো শক্তি টিকতে পারবে না। আসুন তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিন। আমরা বিশ্বাসযোগ্য আন্দোলন উপহার দিতে পারব।

বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, নির্বাচকালীন সরকারের নাম নিয়ে কী যায় আসে? আগে ঐকমত্য হোন। তারপর নাম রাখা যাবে। কারণ সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে পরেও নাম রাখা যায়।

এ সময় সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, দেশের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। তাহলে জনগণ আপনাদের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো করবে না।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা শতভাগ শিক্ষিত দেশ। এক সময়ের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ আজকে ধসে পড়ল। কারণ সেখানকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর পরিবারের সদস্যরা লুটপাট করেছে। সেখানকার চেয়েও খারাপ অবস্থা বাংলাদেশে। বাংলাদেশে কী ঘটবে সেটা বলা যায় না। আমরা চাই না শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি বাংলাদেশে আসুক। কিন্তু শেখ হাসিনা সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সাবধান হোন।

দিনের ভোট রাতে কাটে মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, আজকে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি, পারে না। আমরা সব রাজনৈতিক দল যদি একসঙ্গে বলি নির্বাচনে যাব না, তাহলে নির্বাচন কমিশন আর ইভিএম নিয়ে কথা হবে না। আমরা অযথা সময় নষ্ট করছি কেন? মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। আমাদের নেতা তো খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। খালেদা জিয়া বন্দি কিন্তু তারেক রহমান তো নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ফ্যাসিবাদ থেকে বাংলাদেশ মুক্ত করতে চান।

তিনি আরও বলেন, এ সরকার পদত্যাগ করলেই শুধু হবে না জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তা না হলে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হবে। সংসদ বহাল রেখেই কীভাবে আরেকটি সংসদ নির্বাচন হয়?

‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন-সংকটের একমাত্র সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ ও ড. রেদোয়ান নেতৃত্বাধীন এলডিপি থেকে পদত্যাগ করা ড. আবু জাফর সিদ্দিকী ও তমিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে দুই শতাধিক নেতাকর্মী অতিথিদের হাতে ফুল দিয়ে আব্বাসী ও সেলিমের নেতৃত্বাধীন এলডিপিতে যোগদান করেন।

এলডিপির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে এবং এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম ও আবুল বাশারেরর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন সাবেক এমপি বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, বিশ দলীয় জোটের শরিক এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এলডিপির নেতা ও সাবেক এমপি আব্দুল গণি, চাষী এনামুল হক, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

আরও পড়ুন