বিবিধ, লাইফস্টাইল, স্বাস্থ্য, নারী

মধুময় যৌন জীবনের জন্য তিনটি আসন

Faruque

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ২২শে জানুয়ারী ২০২২ ০৫:২১:৫২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দেশে-বিদেশে ক্রমেই বাড়ছে যোগাভ্যাসের জনপ্রিয়তা। কিন্তু জানেন কি সঠিক আসন সঠিকভাবে করলে, দুরন্ত উন্নতি হতে পারে যৌন জীবনেও?

বিশেষজ্ঞদের মতে, যোগাভ্যাস শরীরের বিভিন্ন পেশির সচলতা যেমন বৃদ্ধি করে তেমনই, বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অঙ্গে রক্তসঞ্চালন। যৌন মিলনের সময় আনে দেহ ও মনের স্ফূর্তি। দেখে নিন কোন কোন আসন আপনার যৌন জীবনকে করে তুলতে পারে আরও মধুময়।

১। আনন্দ বালাসন
এই আসনকে ইংরেজিতে বেবি পোজও বলা হয়ে থাকে। এই আসন সঠিক ভাবে অনুশীলন করলে পায়, কোমর ও নিতম্বের পেশিগুলির শক্তি বৃদ্ধি পায়। যৌনাঙ্গের রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখতেও বেশ উপযোগী এই আসন। ফলে যৌন মিলন সুখকর করতে এই আসন অত্যন্ত কার্যকর। পাশাপাশি নারীদের ঋতুস্রাবকালীন পেশির টান কমাতেও সাহায্য করে এই আসন। 

পদ্ধতি - এই যোগাসন শ্বাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার পায়ের পাতাগুলি ধরে শরীরের দুপাশে ছড়িয়ে দিন আবার পেটের সমান্তরালে টেনে আনুন। এটিকে আরও সহজ করার জন্য আপনি নিজের পায়ে তোয়ালেও ব্যবহার করতে পারেন। আপনার হাতগুলি প্রসারিত করার জন্য নীচে টানতে আপনার পায়ের পাতাটি উপরের দিকে টানুন।

সময় – আপনি যতক্ষণ পারবেন, ততক্ষণ করতে পারেন।

২। চক্রাসন
মেরুদণ্ড ভাল রাখতে এই আসনটি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এই আসনে নমনীয় হয় গোটা দেহই। পাশাপাশি ঝরে পেটের বাড়তি মেদ। ফলে উপকৃত হয় যৌন জীবন।

পদ্ধতিঃ 
সটান চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এখন পা দু’টো একটু ফাঁক করে হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে গোড়ালিদ্বয় পাছার কাছে রাখুন।

 হাত দু’টো কনুইয়ের কাছ থেকে ভেঙে হাতের তালু উপুড় করে দু’পাশে মাটিতে রাখুন।

 এবার হাত ও পায়ের উপর জোর দিয়ে মাথা, পিঠ ও কোমর সাধ্যমতো উপরে তুলুন। ঠিক ধনুকের মতো হবে। 

মাথা যতদূর সম্ভব পেছনদিকে নিয়ে আসুন। হাত সোজা থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ সেঃ থেকে ৩০ সেঃ এই অবস্থায় থাকুন। 

এরপর হাতের উপর ভর রেখে মাথা আস্তে আস্তে নামিয়ে এনে চিৎ হয়ে শুয়ে বিশ্রাম নিন। 

আসনটি এভাবে ২/৩ বার করুন এবং প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন।


আসনটি দেখতে ধনুকের মতো হয় বলে একে উর্ধ্ব-ধনুরাসনও  বলা হয়ে থাকে।

উপকারিতাঃ 
 আসনটি মেরুদণ্ডের হাড়ের জোড় নমনীয় রাখে। 


মেরুদণ্ড-সংলগ্ন স্নায়ুমণ্ডলী ও তার পাশের পেশী সতেজ ও সক্রিয় রাখে। 


বুকের পেশী ও পাঁজরের হাড় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং বুক সুগঠিত করে। 


হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 


আসনটি অভ্যাসের সময় দেহের মধ্যভাগে প্রচণ্ড চাপ পড়ে বলে ঐ অঞ্চলের পেশী, স্নায়ুজাল সবল ও সক্রিয় থাকে এবং পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র, প্লীহা, যকৃৎ খুব ভালো কাজ করে। 


যাদের বুক বয়স অনুযায়ী সরু ও অপরিণত, তাদের এ আসনটি অবশ্য করা উচিৎ।


 আসনটি অভ্যাসে দেহের মধ্যভাগের অপ্রয়োজনীয় মেদ দূর হয়, মনের চঞ্চলতা দূর করে এবং স্বভাবে ধৈর্য বৃদ্ধি করে।


 কোনও স্ত্রী-রোগ বা পেটের রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে না।


 চক্রাসনের সঙ্গে পদহস্তাসন ও শশঙ্গাসন অভ্যাস রাখলে কোনদিন লাম্বার স্পন্ডিলোসিস বা স্লিপড্‌ ডিস্ক জাতীয় কোনও রোগ হতে পারে না।

৩। অধোমুখ শ্বনাসন
এই আসনে মুখ নিচু করে কুকরের মতো ভঙ্গিমা করা হয়ে থাকে। হাত, পা, কাঁধ ও পিঠের পেশি ভাল রাখতে সাহায্য করে এই আসন। পাশাপাশি মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে, ফলে ভাল উজ্জীবিত হয় মন।



তবে খেয়াল রাখবে সব আসন সবাই করতে পারেন না। বিশেষত শারীরিক অসুস্থতা থাকলে যে কোনও আসন করার আগেই নেওয়া উচিত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।

আরও পড়ুন