ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া ঘিরে রংপুরে দলীয় কোন্দল প্রকট হচ্ছে আওয়ামী লীগে। এরই মধ্যে জেলার একাধিক ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিও করেছে মনোনয়ন বঞ্চিত ও তৃণমূলের নেতারা।
সম্প্রতি জেলার তাম্বুল ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বক্তব্যে অনেকটাই পরিষ্কার নির্বাচন ঘিরে দলটির ভেতর কোন্দল বাড়ছে। কেন্দ্র থেকে যে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ তা মেনে নিতে নারাজ, চলছে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি।
এরই মধ্যে দুই ভাগে বিভক্ত দলটির নেতা কর্মীরাও। দিচ্ছেন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, বিদ্যুৎ নামে যাকে এবার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাকে কখনই আমরা আওয়ামী লীগে দেখি নাই। হাইব্রিড লীগ,পকেট লীগ এমন বহু লীগ আছে এমন অনেক নেতা আওয়ামী লীগে ঢুকছে। আমরা চাই জনবান্ধব এবং প্রকৃত আওয়ামী লীগের ত্যাগী কোন নেতাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, রাজাকারের ছেলে যদি চেয়ারম্যান হয় আর তার কাছ থেকে যদি আমাদের সার্টিফিকেট নিতে হয় এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হইতে পারে না।
তাম্বুলপুর ইউনিয়নই নয়, একাধিক ইউনিয়নে মনোনয়ন বঞ্চিতদের চলছে প্রতিবাদ সমাবেশ। তবে আওয়ামী লীগ বলছে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবার সুযোগ নেই কারও।
জেলার শীর্ষ নেতারা বলছেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মানা না হলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, নৌকার বিপক্ষে নৌকা সমর্থিত বিদ্রোহী কোন প্রার্থী থাকবে না। আমি আশা করছি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যারা মনোনয়ন ফরম নিয়েছে তারা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবে। যদি কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় নিজেদের মধ্যে কোন্দল বাড়ার একটি কারণ বলে দাবি সুজন সাধারণ সম্পাদক আফতাব হোসেনের। তিনি বলেন, প্রার্থী বাচাই এবং মনোনয়নের গণতান্ত্রিক যে প্রক্রিয়া সেটি সকল ক্ষেত্রে সঠিকভাবে অনুসরন করা হচ্ছে। এর ফলেই নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি এবং অন্তর্কোন্দল দেখা দিয়েছে।
একাধিক ইউনিয়নে মনোনয়ন বঞ্চিতদের পদত্যাগ ছাড়াও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।