জেলার সংবাদ, লাইফস্টাইল

রমজানে সাদৃত বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী টক দই

বগুড়া প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৬ই মে ২০২১ ০১:৪৬:৩৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রমজানে কয়েক গুন বেড়ে যায় বগুড়ার সাদা বা টক দইয়ের চাহিদা। সারাদিন রোজা রেখে শরীরে প্রশান্তি আনার পাশপাশি বিশেষভাবে তৈরি এই টক দই পূরণ করে নানা ঘাটতি। তাই ঐতিহ্যবাহী দইয়ের জেলা হিসেবে খ্যাত বগুড়ার মানুষের কাছে ইফতারে এক অনন্য উপকরণ হিসেবেই টক দই ব্যবহার হয়ে আসছে যুগের পর যুগ ধরে।

বগুড়ার দই। যা ধারণ করছে প্রায় দু’শো বছরের ঐতিহ্য। নবাব পরিবারের মাধ্যমে বগুড়ার দই এর সুনাম ছড়ায় বিশ্ব বাজারে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে বগুড়ার দই রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

মিষ্টি দই ছাড়াও বগুড়ায় তৈরি হয় টক দই। এর চাহিদা সারাবছর কম থাকলেও গরম ও রমজানে বেড়ে যায়। প্র্রতি বছর রোজাদারদের জন্য টক দইয়ের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয় ব্যবসায়িদের। কিন্তু এবার সেই দই বাজারেও করোনার প্রভাব। এ মৌসুমে ধস নেমেছে বগুড়ার দইয়ের বাজারে।

দোকানিরা বলছেন, রমজানে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ মণ দুধের টক দই বেচাকেনা হলেও এ বছর বিক্রি হচ্ছে না দিনে ২০ কেজি দুধের দইও। টক দই ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় রাখা সম্ভব না হওয়ায়  নষ্টও হচ্ছে অনেক দই।

সারা বছর বিভিন্ন প্রয়োজন ছাড়াও ইফতারে রোজাদারদের কাছে অপরিহার্য উপাদানে পরিণত হয়েছে বগুড়ার টক দই। রোজাদার মানুষেরা নানা উপায়ে ইফতারে খেয়ে থাকেন এই সাদা বা টক দই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুষ্টিগুণে ভরপুর টক দই সব বয়সী মানুষের শরীরে পূরণ করে নানা ঘাটতি। রোজার দিনে তো বটেই টক দই হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণেও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তবে, খাবার প্রক্রিয়ায় তাতে চিনি বা মিষ্টি যুক্ত না করার পরামর্শ তাদের।

বগুড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ডায়োটিশিয়ান ও নিউট্রিশনিস্ট ফারহানা সোহেনী ঐশী বলেন, 'টক দইয়ে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট আছে। তবে সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার হলো এতে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম আছে। দুধের সমপরিমাণ পুষ্টি টক দই থেকে পাওয়া যায়। হজমে সহায়তা করে। প্রতিদিন ২০০-২৫০ গ্রাম টক দই গ্রহণ করা উচিত। রোজা রাখার পর এটি গ্রহণ খুবই উপকারী।'

রমজানে টক দইয়ের তৈরি ঘোল, ফালুদা, দই বড়াসহ বিভিন্ন রকম সুস্বাদু খাবার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বগুড়ার দোকানগুলোতে টক দই পরিমাণভেদে ১০০ থেকে ২০০ টাকায় এবং ফুটপাতে এর দাম ৪০ থেকে ৮০ টাকা।

আরও পড়ুন