রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।মঙ্গলবার বাদ জোহর জানাজা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
তার আগে আজিজুল হকের মরদেহ নেয়া হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ।
সোমবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আজিজুল হক। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। গত ২১শে আগস্ট উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয়। একটানা ১৯ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসার পর ১০ সেপ্টেম্বর নিজ বাসায় ফেরেন তিনি। সেখানেই সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গুণী এই কথাসাহিত্যিক।
বরেণ্য এই এই কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ অনেকে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় ১৯৩৯ সালে জন্ম হাসান আজিজুল হকের। ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে অধ্যাপনা করেন। ছয় দশকের বেশি সময় লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন তিনি। 'আগুনপাখি'- তার অন্যতম আলোচিত উপন্যাস। সাহিত্যে অবদানের জন্য হাসান আজিজুল হক ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৯ সালে তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।