অপরাধ, রাজধানী

রিজেন্টের চেয়ারম্যান শাহেদ: একই অঙ্গে বহুরূপ

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ৭ই জুলাই ২০২০ ০৯:১৫:৩০ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কখনো সেনা কর্মকর্তা আবার কখনো আওয়ামী লীগ নেতা যেখানে যে পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেয়া যেতো তার সবটাই করতেন শাহেদ।

ক্ষমতাসীন দলের প্রায় সব নেতা এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে ছবি তুলে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শেয়ার করতেন তিনি। কখনো সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর কখনো বা কর্নেল আর কখনো আওয়ামী লীগ নেতা- যেখানে যে পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেয়া যেত তার সবটাই করতেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদের। তাকে গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে।

ছোট একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে হাসপাতালের মালিক বনে যাওয়া শাহেদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক প্রতারণার মামলার খোঁজ মিলেছে।

এমনকি রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ নিজেকে আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন। আওয়ামী লীগের এমন কোনো নেতা নেই যার সঙ্গে ছবি নেই শাহেদের। যদিও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ জানিয়েছেন তিনি আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিরই সদস্য নন। তিনি বলেন, 'আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই শাহেদ আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য বা আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিরই সদস্য নন।'

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন টিভি টকশোতেও অংশ নিতেন রাজনৈতিক ভাষ্যকার বা আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে। সাংবাদিকতা না করেও একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক তিনি নিজেই।

সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানে বেরিয়ে আসে তার প্রতারণার চাঞ্চল্যকর তথ্য। করোনা পরীক্ষা আর চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। তবে, এই প্রতারণা নতুন নয়। এর আগে,‌ এমএলএম ব্যবসার নামে সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়ার আভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। মামলাও হয়েছে কয়েকটি। সাথে সব সময় একাধিক সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী রেখে চলাফেরা করতেন। কেউ পাওনা টাকা চাইলে অস্ত্রের ভয় দেখাতেন।

করোনাকালে যখন চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি তখন এই করোনাকেই টাকা বানানোর হাতিয়ার করেছেন শাহেদের মত কিছু ব্যক্তি।

আরও পড়ুন