অনিয়মের আখড়ায় পরিনত হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে খুঁজছে র্যাব। তার দেশ ছেড়ে পালানোর কোনো সুযোগ নেই। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানিয়েছে, কর্নেল থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে এমন কোন অপকর্ম নেই যা করেনি সাহেদ। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা হবে।
রিজেন্ট হাসপাতালে রেবের অভিযানের পর থেকেই বেরিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. শাহেদের নানা অপর্কমের তথ্য। বুধবার মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালের সামনে গিয়ে দেখা মেলে ঐ ভবনের মালিক ফিরোজ আলম চৌধুরীর। তিনি জানান, ২০১৬ সালে শাহেদ ভবনটি ভাড়া নিলেও ঠিকমত কখনোই ভাড়া দিতেন না। সরকারের বড় কর্তাদের ছবি দেখিয়ে বারবার হুমকি দেয়া হতো।
একই অভিযোগ আশপাশের দোকানিদেরও। তারা বলছেন, রোগীদের জোড় করে ভর্তি করানো হতো রিজেন্ট হাসপাতালে।
অনিয়মের আখড়ায় পরিনত হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে সাহেদ। র্যাব বলছে, তদবির বাণিজ্য ছিলো রিজেন্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদের বড় হাতিয়ার।
র্যাবের মিডিয়া এন্ড লিগ্যাল উইং মুখপাত্র সরোয়ার বিন কাশেম বলেন, সে বিভিন্ন সময় পুলিশের কাছে আটক হয়েছে, জেলও খেটেছে। মিথ্যাকে কেন্দ্র করেই তার উত্থান। প্রতারণাকে কেন্দ্র করেই সে নিজেকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
র্যাবের দাবি, মন্ত্রী-আমলা-রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে খাতির থাকার কারনে সব জায়গায় প্রভাব ছিলো তার। তবে, দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের সাথে প্রতারনার অভিযোগে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুরে শাখা সহ প্রধান কার্যালয় সিলগালা করা হয়। বন্ধ রয়েছে চিকিৎসা কার্যক্রম।