আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রথমদিন শুনানিতে গণহত্যা, ধর্ষণ, শিশুহত্যার অভিযোগ তুলে ধরেন গাম্বিয়ার আইনজীবীরা।
প্রথম দিনের শুনানিতে সূচনা বক্তব্যে গাম্বিয়ার পক্ষে বিচারমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু বকর মারি তামবাডু বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে নির্যাতন তা আধুনিক সময়ের জেনোসাইড। তিনি বলেন, রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত শত শত গ্রামে গণহত্যা চালানো হয়েছে। রোহিঙ্গা শিশু ও নারীরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর লক্ষ্য ছিল।
গাম্বিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেয়া আরেকজন সদস্য বলেন, মিয়ানমার বর্ণবৈষম্যে বিশ্বাস করে এবং তাদের এ ধরনের কাজের হাজার হাজার প্রমাণ আছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৩৯২টি গ্রাম সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা জানান, শুধু মংডু গ্রামেরই ৭৫০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আরেকটি গ্রামে ঢুকে ১০০ জনের মতো লোককে হত্যা করা হয়েছে এবং এরমধ্যে প্রায় ৩০ জন ছিল ১৮ বছরের নিচে। অন্য আরেকটি গ্রামে ৩৫৮ জনকে হত্যা করা হয় এবং এরমধ্যে ১২৭ জন শিশু। মিয়ানমার সরকার এর কোনও কিছুই স্বীকার করে না এবং প্রকাশ্যে সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে থাকে।
শুনানিতে আরো বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার এখনও ঘৃণাসূচক বক্তব্য দিচ্ছে। যা গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে। পাশাপাশি প্রথমদিনের শুনানিতে রোহিঙ্গাদের হত্যা-নির্যাতনের দায়ে মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক নেতাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে গাম্বিয়া।