রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি ট্রেম্বলে দ্রুত তদন্ত শুরু করতে বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, মুহিবুল্লাহর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, বিশ্বজুড়ে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় মুহিবুল্লাহ এক সাহসি ও শক্তিশালী প্রতিনিধি ছিলেন। দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে জোরালো আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ ওরফে মাস্টার মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, বুধবার রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় মুখে গামছা পরা একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পর পর পাঁচটি গুলি করে। মাস্টার মুহিবুল্লাহর শরীরে তিনটি গুলি লাগে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
মাস্টার মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস-এর চেয়ারম্যান। তিনি উখিয়ার ওয়ান-ইস্ট লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৭ ব্লকের বাসিন্দা। ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা শিবিরে মহাসমাবেশ করে আলোচনায় আসেন মুহিবুল্লাহ।