জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন আবেদন করেছেন বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিএনপি'র কারাবন্দি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার শর্তহীন অনুমতি চেয়েছেন হাইকোর্টে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে তার পক্ষে জামিন আবেদন করেছেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (১৭ই ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ২৯শে অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়। আদালতের সাজা স্থগিত ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। গত বছরের ১৪ই অক্টোবর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগও জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেয়।
আজ মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়ে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, 'বিএনপি চেয়ারপার্সনের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আমাদের দেশে যে চিকিৎসা আছে তাতে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে তিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে রাজি হচ্ছেন না। উনি চান তাকে যদি মুক্তি দেয়া হলে তিনি তার ইচ্ছানুযায়ী চিকিৎসা করাবেন।' আপিল বিভাগে জামিন আবেদনের সময় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যেমন ছিল এখন তার থেকে আরও অবনতি হয়েছে বলেও জানান খন্দকার মাহবুব হোসেন।
অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
২০১৮ সালের ২৯শে অক্টোবর ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন। তবে, পরবর্তীতে আপিলের পর তার সাজার মেয়াদ বেড়ে ১০ বছর হয়। সে সময় থেকেই কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া।