ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইয়ামিন হোসেন নামের এক শিক্ষককে প্রকাশ্যে বেধড়ক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে দুর্বৃত্তচক্র।
আজ শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে শৈলকুপার মহিষগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ইয়ামিন হোসেন ১৫৫নং মহিষগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। হামলার পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারা জানিয়েছেন, তার দু'পায়ে ও শরীরে মারাত্মক ইনজুরি হয়েছে।
আহত শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন জানান, এক বছরের জন্য ১৩ শতাংশ জমি ৪ হাজার টাকায় লিজ দেওয়া হয় মহিষাগাড়ী গ্রামের মৃত দিলবার বিশ্বাসের ছেলে শাহাজান বিশ্বাসকে। লিজের সময় শেষ হলে তাকে জমি ছাড়তে বলা হয়। সে জমি না বুঝে দিয়ে উপরন্ত শাহাজান বিশ্বাস তার ভাই লতিফ বিশ্বাস ও ভাতিজা শহিদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে বাড়িতে এসে তাকে পিটিয়ে আহত করে এবং ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করে।
এ ঘটনায় তার স্বজনরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। পরে শিক্ষককে উদ্ধার করে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হামলাকারীদের ভয়ে থানায় এখনো ওই শিক্ষক পরিবার কোন অভিযোগ করতে পারেনি।
এদিকে হামলাকারী লতিফ বিশ্বাস বলেন, ওই শিক্ষকের কাছ থেকে তার ভাই শাহাজান বিশ্বাস ২ বছরের জন্য জমি লিজ নিয়েছে। প্রায় ১ বছর জমিটি অনাবাদী ছিলো, এখন পরিশ্রম করে আবাদযোগ্য করার পর শিক্ষক জমি ছাড়তে বলছে, যা অন্যায়।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষকের গায়ে হাত দেয়া ভুল হয়েছে, মিমাংসা করে ফেলবেন।
হামলার ঘটনায় স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও স্থানীয় সমাজপতি আতিয়ার রহমান বলেন, শিক্ষকের ওপর হামলা গুরুত্বর অপরাধ। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শামীম হোসেন বলেন, শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন এলাকার একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তার ওপর হামলা গুরুতর অপরাধ। লিখিত অভিযোগ না পেলেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছেন।
এদিকে, শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের আটকের দাবি জানিয়েছে।