জাতীয়, সংবাদের ভিডিও

শিক্ষার্থীদের চুল কাটায় বরখাস্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফারহানা

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১লা অক্টোবর ২০২১ ০৭:২৭:১১ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১৬তম বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যরা, শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষকের এমন আচরণে উষ্মা প্রকাশ করেন।

বরখাস্তের পরই রবির রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন কান্দাপাড়ার প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এদিন রাত ৮টার দিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের ১৬তম বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সাময়িক বরখাস্তসহ তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো হলো-শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়িক বরখাস্ত, রবির সব পরীক্ষা স্থগিত, প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ড অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব-তিন সৈয়দা নওয়ারা জাহান ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সোহরাব আলীসহ অন্যান্য সদস্যরা। 

এর আগে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মুখে তিন পদ থেকে পদত্যাগ করেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ, সিন্ডিকেটের সদস্য ও প্রক্টর কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে তার স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

গত রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষার হলের দরজায় দাঁড়িয়ে একে একে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সব পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এ অপমানে নাজমুল হাসান তুহিন নামের এক শিক্ষার্থী অতিমাত্রার ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন