বাংলাদেশ, জাতীয়, শিক্ষা

শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

ফারুক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১০ই মে ২০২২ ০৭:৪১:১৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

উচ্চশিক্ষা গ্রহণে কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। বিকালে রাজধানী আফতাব নগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এছাড়া, নির্ধারিত আসনের বাইরে অধিক ভর্তির যে প্রতিযোগিতা সেটিও বন্ধ করতে হবে বলে জানান তিনি। গবেষণা, উদ্ভাবন ক্ষেত্রে সক্ষমতার গুনগত মান বজায় রাখতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। উচ্চশিক্ষায় বয়সের বাধা দুর করে মেধাবিদের সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। আর চর্তুথ শিল্পবিপ্লবে শিক্ষাব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করতে সরকার কারিগরি শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোভিড-পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতি অনেক পরির্বতিত হয়েছে। তাই চলমান পৃথিবীর সঙ্গে তাল মেলানোর পাশাপাশি আগামী দিনের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে শিক্ষাখাতকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। এই মাস্টারপ্লানে ই-লার্নিংয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে যত বাধাই আসুক, হতাশ হওয়া যাবে না। করোনার ২ বছরে দেখা গেছে পৃথিবী আসলে কত নিষ্ঠুর, তবু পেশাগত জীবনে সততা, দক্ষতার পাশাপাশি মানবিকগুণও ফুটিয়ে তুলতে শির্ক্ষাথীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেন। এ সমাবর্তনে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ১ হাজার ৬৯৩ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এছাড়া মেধাবী দুইজন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, এমিরিটাস অধ্যাপক ড. এমএ সাত্তার মন্ডল।

আরও বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্র্যাজুয়েট ও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন। শিক্ষা জীবনের শেষে যথাসময়ে সনদ হাতে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন