যশোরের বিভিন্ন গ্রামে এখন চলছে খেজুর গাছ থেকে রস ভাঙ্গার মৌসুম।
শীতকাল এলেই সকালে ঘুম থেকে উঠেই গাছিরা ছোটেন খেজুর গাছ থেকে রসের ভাড় নামাতে। আর নারীরা সেই রস জ্বাল দিয়ে তৈরি করেন নানা স্বাদের গুড় আর পাটালি। আর রস দিয়েই তৈরি হয় পিঠা-পায়েসও।
খেজুর রস আর গুড় প্রসঙ্গ উঠলেই মনে আসে যশোরের কথা। শীত আসার আগেই এখানকার গাছিরা খেজুর গাছ কাটা শুরু করেন। স্বাদ অটুট রাখতে শীতের সময় সপ্তাহে একবার করে সেই রস সংগ্রহ করা হয়।
খুব ভোরে গাছ থেকে রস নামিয়ে বড় চুল্লিতে কাঠের আগুনে জ্বাল দেয়া হয়। প্রায় ৩/৪ ঘন্টা টানা জ্বালানোর পর রস শুকিয়ে ঘন হয়ে যায়। একপর্যায়ে তা গুড়ে পরিণত হয়।
বাড়ির নারী-পুরুষ সবাই-ই রস থেকে গুড় তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন। চলে খেজুর রস জ্বাল দেয়া থেকে শুরু করে গুড় এবং পাটালি তৈরির কাজ।
এখানকার গুড়ের চাহিদা এত বেশি যে কেউ কেউ বাড়ি এসেও কিনে নিচ্ছেন।
তবে গাছ মালিকরা বলছেন, এলাকায় এখন আগের মতো খেজুর গাছ নেই। তাছাড়া রসও কম হচ্ছে।
যশোরের খেজুরের রস ও গুড়ের মান সর্বোৎকৃষ্ট, তবে গাছির দক্ষতা ও নিপুণতার ওপরও রসের মান ও পরিমাণ নির্ভর করে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।