আন্তর্জাতিক, এশিয়া

শ্রীলংকায় নিষিদ্ধ হচ্ছে গরু জবাই

ফারুক হোসাইন

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১৯শে অক্টোবর ২০২১ ০৬:৫৯:১৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

গরু জবাই নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করে একটি খসড়া আইন অনুমোদন করেছে শ্রীলংকার মন্ত্রিসভা

 মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবটি পাশ হওয়ার পর খসড়া আইনটি অনুমোদনের জন্য এখন পার্লামেন্টে তোলা হবে। দেশটির সরকার বলছে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে শ্রীলংকার দুগ্ধশিল্প উপকৃত হবে।

বিবিসি সমালোচকদের উদ্ধৃত করে বলেছে, শ্রীলংকার সংখ্যালঘু মুসলমানদের লক্ষ্য করে আইনটি তৈরি করা হয়েছে। কারণ তারাই গরুর মাংসের প্রধান ভোক্তা।

এদিকে, শ্রীলংকার কট্টরপন্থী সিংহলী বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলি গোমাংস নিষিদ্ধ করার সরকারি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।

শ্রীলংকা একটি বৌদ্ধ সংখ্যাগুরু দেশ। জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ লোক এই ধর্মের অনুসারী।

কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষই মাংসভোজী। বৌদ্ধদের একাংশ গরুকে পবিত্রজ্ঞান করেন এবং তারা গোমাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।

তবে দেশটির জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মুসলমান। এরা সহ খ্রিস্টান, কিছু বৌদ্ধ এবং হিন্দুরাও গরুর মাংস খান।



সরকারের সমালোচকরা বলছেন, শ্রীলংকার গোমাংসের ব্যবসা এবং হালাল সার্টিফিকেশনের নিয়ন্ত্রণ মুসলমানদের হাতে। ফলে এরাই এই প্রস্তাবিত আইনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছেন।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গরু জবাই বন্ধ করার পক্ষে বিভিন্ন দল অবস্থান নিয়েছে। তাদের যুক্তি, কৃষিকাজ এবং দুগ্ধ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় গরু দেশে নেই।

শ্রীলংকায় গরু জবাই নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব প্রথম উঠেছিল ২০০৯ সালে। সে সময় একজন সংসদ সদস্য ভিজেদাসা রাজাপাকসে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পার্লামেন্টে তুলেছিলেন। তবে সে সময় প্রস্তাবটি গৃহীত হয়নি।

এরপর ২০১২ সালে ক্যান্ডি শহরের কর্তৃপক্ষ পৌর এলাকার মধ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ করে। পরের বছর এ নিয়ে বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করে যখন গরু জবাই নিষিদ্ধ করার দাবিতে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

এরপর কট্টরপন্থী দুটি সিংহলী বৌদ্ধ সংগঠন, সিনহালা রাভায়া এবং বদু বালা সেনা, এটাকে তাদের আন্দোলনের একটি প্রধান বিষয়বস্তুতে পরিণত করে।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ২০১৬ সালের প্রস্তাবটিকে নতুন করে পার্লামেন্টে তুলে আনেন এবং আইন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করেন।

আরও পড়ুন