বিক্ষোভকারীরদের দেখামাত্রই গুলি করার সরকারি নির্দেশ অস্বীকার করেছে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ এবং সেনাবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল শভেন্দ্র সিলভা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কোনও পরিস্থিতিতেই এই ধরনের অপমানজনক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেবে না।
লঙ্কান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নলিন হেরাথ বলেন, 'কাউকে সরকারি সম্পত্তি লুটপাট বা মানবজীবনের ক্ষতি করতে দেখলে নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
শ্রীলঙ্কায় এক এমপির অপমৃত্যু, আরেকজনের ওপর হামলা এবং মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীসহ অর্ধশতাধিক নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের পরের দিনই এমন কঠোর নির্দেশনা দিলো লঙ্কান কর্তৃপক্ষ।
শ্রীলঙ্কার পুলিশ জানায়, সোমবার বিক্ষোভকারীরা কলম্বো উপকণ্ঠে সরকার দলীয় এমপি অমরাকীর্তি আথুকোরালার গাড়িতে হামলা চালালে তিনি দুজনকে গুলি করেন। এতে একজন মারা যান। এরপর সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা তাকে ঘিরে ধরেন। পরে নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেন অমরাকীর্তি।
এর আগে শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম ডেইলি মিররে ফ্রন্টলাইন সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা ডুমিন্ডা নাগামুওয়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ তোলেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজা পাকসে স্বপরিবারে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছে শ্রীলঙ্কার কয়েকটি গণমাধ্যম। তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত ভারতের হাইকমিশন।