জাতীয়, অর্থনীতি

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কামানোর ঘোষণায় ক্ষুদ্ধ এর ওপর নির্ভরশীলরা

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৫১:০৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

হুট করেই কমানো হলো সঞ্চয়পত্রের মুনাফা, কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত আগের মুনাফা হার বহালের দাবি বিক্ষুব্ধদের।

হুট করে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমানোতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এর ওপর নির্ভরশীলরা। তাদের দাবি, করোনাকালে একে তো আয় নেই তার ওপর বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এমন পরিস্থিতিতে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কামানো অমানবিক। কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত আগের মুনাফা হার বহাল রাখার দাবিও জানিয়েছেন সঞ্চয়পত্রে নির্ভরশীলরা।

বয়সের ভারে এমনিতেই ক্লান্ত তার ওপর দিনে দিনে বাড়ছে খরচের বোঝা আর আয়ের পথ বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই। এখন নির্ভরতা শুধু চাকরী জীবনের জমানো টাকায় কেনা সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর। সেখানেও ভাগ বসালো সরকার। 

হতাশা আছে, ক্ষোভও আছে। কিন্তু তা শোনার কেউ নেই। তাই ক্যামেরাতেও কথা বলতে বিরক্তি আছে রাষ্ট্রের নির্ভরশীল জনগণের।

যদিও সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ি, ১ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের মুনাফা আছে আগের মতই। কিন্তু ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কমানোর হয়েছে নানা হারে। 

জাতীয় সঞ্চয় বিশেষ ব্যুরো'র সহকারী পরিচালক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, যাদের পূর্বে সঞ্চয়পত্র কেনা আছে তাদের চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ তাদেরটা পূর্বের নিয়মেই চলবে। নতুন করে যারা সঞ্চয়পত্র কিনবে প্রথম ২৫ লাখেরটা তারা আগের মতই পাবে।

আগাম ঘোষণা কিংবা ইঙ্গিত ছাড়াই সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ সঞ্চয়পত্রে নির্ভরশীলরা। আর তাদের সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে সরকারি কর্মীদের।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সামাজিক নিরাপত্তা আওতায় অন্যান্য সুযোগ বাড়ানোর আগে সঞ্চয়পত্রে হাত দেয়া ঠিক হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, যখন সবাই অর্থনৈতিকভাবে নাজুক অবস্থায় আছে এই সিদ্ধান্তটা মধ্যবিত্তদের উপর একটা চাপ প্রয়োগ করবে। সরকারের অন্যান্য অনেক খাত আছে যেখানে ব্যয় কমানো সম্ভব। সেই খাতগুলোতে গুরুত্ব দেয়া উচিত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি সোজাসুজি বলতে চাই এই সিদ্ধান্তটা খারাপ হয়েছে। অনেক দুর্নীতির জায়গা আছে সেগুলোতে পদক্ষেপ না নিয়ে এ খাতে হাত দেয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়।

এ অবস্থায় সঞ্চয়পত্রের মুনাফা অপরিবর্তিত রাখার সিলিং ১৫ লাখ টাকার বদলে কমপক্ষে ৩০ লাখ করার দাবিও জানিয়েছেন রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল সাধারণ সঞ্চয়কারীরা।

আরও পড়ুন