বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত

এম জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ২২শে আগস্ট ২০২০ ০৮:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

হঠাৎ নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগরের উপকূলীয় এলাকার তিনটি ইউনিয়নের ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কপোতাক্ষ নদের কুড়িকাউনিয়াসহ কয়েকটি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

হঠাৎ নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগরের উপকূলীয় এলাকার তিনটি ইউনিয়নের ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কপোতাক্ষ নদের কুড়িকাউনিয়াসহ কয়েকটি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 

এছাড়া খোলপেটুয়া নদীর হাজরাখালী পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে শ্রীউল ইউনিয়নের সবক’টি গ্রাম (২০) প্লাবিত হয়েছে। খোলপেটুয়া নদীর লেবুবুনিয়া পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে কমপক্ষে ১০ টি গ্রাম।  প্রতাপনগর ও শ্রীউলাসহ শ্যামনগরের গাবুরার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে সীমাহীন দূর্ভোগে রয়েছে। কমপক্ষে ২ হাজার মাছের ঘের আবারো নতুন করে ভেসে গেছে। 

প্রতাপনগর ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০টি গ্রামে পানি প্রবেশের পর ওই এলাকার ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানান প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। 

এদিকে শ্যামনগর উপজেলার লেবুবুনিয়া এলাকায় কপোতাক্ষের ভেঙে যাওয়া ৬ টি পয়েন্ট সংস্কার করার পর আবারো ৭টি স্থানে ভেঙ্গে গেছে। গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে সকাল থেকে সংস্কার কাজ চলছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার জানান, অমাবশ্যায় কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর পানি ৩'৭৯ মিটার অর্থাৎ ১২/১৩ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ ছাপিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ফলে দূর্ভোগের শেষ নেই এসব অঞ্চলের মানুষের।  

এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ শনিবার এক সভায় উপকূলের মানুষ রক্ষায় সরকারের কাছে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জনিয়েছেন। কমিটির পক্ষ থেকে আশাশুনির প্রতাপনগর ও শ্রীউলাসহ শ্যামনগর ও আশাশুনির উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানে রান্না করা খাবার বিতরণ করা এবং ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করার দাবী জানানো হয়। 

এছাড়া সাতক্ষীরা শহরসহ জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনে যেখানে যে ধরণের বাধা রয়েছে তা দ্রুত অপসারণের দাবী জানান এই সভায়।

শনিবার দুপুরে কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মো. আনিসুর রহিম। সভায় আগামী ২৪ আগস্ট সাতক্ষীরা জেলা আইজীবী সমিতি থেকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি উদ্বোধন, ২৬ আগস্ট সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে অবস্থান ও স্মরকলিপি পেশসহ অন্যন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। 

আরও পড়ুন