বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ, বিশেষ প্রতিবেদন, কৃষি

সাতক্ষীরায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ১লা সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ভিয়েতনাম থেকে আনা তিন জাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন সাতক্ষীরার কৃষকরা।

কম সময়ে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন এই তরমুজ চাষে। বিঘাপ্রতি উৎপাদন খরচ বাদে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

গতবছর ভিয়েতনাম থেকে হলুদ তরমুজ মধুমালার বীজ সাতক্ষীরা উপজেলার সেনেরগাতিসহ কয়েকটি গ্রামে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করলেও এবছর বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন কৃষকরা। জেলায় এবার ৬ হেক্টর জমিতে এ তরমুজের চাষ হয়েছে।

জেলার মাটি ও আবহাওয়া এ জাতের তরমুজের জন্য উপযোগী। মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসে ফলন পাওয়া যায়। মাচান পদ্ধতি ব্যবহার করে তরমুজ চাষ করায় বর্ষায় ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে। কৃষকরা জানান,'তরমুজটা চাষ করে আমার বিশাল লাভ হয়েছে। ৫০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছি। আরও ৩০ হাজার টাকার মতো তরমুজ আছে।'

খরচের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি লাভ হওয়ায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে জমি থেকেই বিক্রি হচ্ছে এ জাতের তরমুজ। তালা সাতক্ষীরা কৃষিবিদ মোহাম্মদ নয়ন হোসেন বলেন,'এটা খুবই স্বল্প মেয়াদী একটি ফসল। চারা লাগানোর পর দুই থেকে আড়াই মাসের মাধ্যে ফলন পাওয়া যায়। এটা লাভজনক ও নিরাপদ। এখানে কিটনাশক ব্যবহার করা লাগেই না।'

লাভ বেশি হওয়ায় মৎস্য ঘেরের বাঁধেও তরমুজ চাষ করার কথা জানায় কৃষি বিভাগ। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান,'এক বিঘা জামিতে তরমুজ উৎপাদন করতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর উৎপাদন ২৪শ থেকে ৩হাজার কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ভিয়েতনাম থেকে আনা তিন ধরনের তরমুজের মধ্যে রয়েছে মুধমালা, ইয়েলো বার্ড ও ব্লাক বেবি জাত।

আরও পড়ুন