বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ, অপরাধ

নিখোঁজের ১০ দিন পর স্কুলছাত্রের গলিত মরদেহ উদ্ধার

এম জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ১০ই আগস্ট ২০২০ ০৮:০২:১৭ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

নিখোঁজের ১০ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুলছাত্রের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুলছাত্র মঈনুল ইসলামের (১৫) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরা শহরের কাছে আব্দুস সবুরের জয়েন্ট ব্রিকসের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে মঈনুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত মঈনুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাঁচরকী গ্রামের সুরত আলীর ছেলে। সে সাতক্ষীরার ভোকেশনাল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র।

অপরদিকে গ্রেপ্তারকৃতের নাম হুমায়ুন কবীর (৩৬)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের ওয়াহেদ সরদারের ছেলে। নিহত মইনুল নিখোঁজ হওয়ার আগে সর্বশেষ ফোন আসে আটক হুমায়ুন কবীরের নাম্বার থেকে।

নিহতের বড় ভাই শাহীনুর জানান, মঈনুল সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে পড়াশুনার পাশাপাশি মাঝে মাঝে সে ইজিবাইক চালাতো।

গত ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ইজিবাইক নিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয় মঈনুল। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। সারা রাত খোঁজাখুজির পর তার সন্ধান না পাওয়ায় ঈদের দিন তার চাচা আফছার আলী সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

পুলিশ মোবাইল ট্রেকিং করে মঈনুলের কাছে শেষ ফোন দেয়া হুমায়ুন কবিরকে সদরের আলীপুর গ্রাম থেকে গতকাল সন্ধ্যায় আটক করে। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার দুপুরে হুমায়ুন কবীরের শ্বশুর বাড়ি শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে মঈনুলের ব্যবহৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, হুমায়ুন কবীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মইনুলের ব্যবহৃত ইজিবাইক ও পঁচাগলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকজন মিলে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও জানান ওসি।

এদিকে, মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন