প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে সালমানের খানের দায়ের করা মামলার পরবর্তী দিন ২১শে জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বলিউডের ভাইজান খ্যাত সালমান খানের পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। ম্যায়নে পেয়ার কিয়া থেকে শুরু করে অন্তিম: দ্যা ফাইনাল ট্রুথ। ৫৮ বছর বয়সেও ভাইজান যেন এখনও তরুণ। তবে খ্যাতির পাশাপাশি বিড়ম্বনাও যেন পিছু ছাড়ছে না এ তারকার। সিনেমার ভ্যানিটি ভ্যানের মতো আদালত পাড়াও যেন তার ভীষণ পরিচিত জায়গা এখন। তারই উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি আবারও সালমান খানের নামের পাশে ‘আদালত’ শব্দটি জায়গা নিয়েছে। তবে এবার এর কারণ কোন গাড়ি বা কোন সিনেমা-অভিনেত্রী নয়, কারণ এবার তার শখের পানভেল খামার বাড়ি।
২০১৮ সালে এই সুপারস্টারের পানভেল প্রতিবেশী কেতন কাক্কড় এবং তার স্ত্রী অনিতা কাক্কড় এক ইউটিউবার-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, জমির মালিক হওয়া স্বত্বেও ভাইজান তাদের পানভেল ফার্মহাউসের পাশে একটি বাংলো তৈরি করতে দিচ্ছেন না।
তাই এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, সালমান খান তার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই সাক্ষাৎকারে উপস্থিত আরও দুই সদস্যের বিরুদ্ধেও মামলা করেন এই তারকা। পাশাপাশি তার আইনজীবীরা মামলার বিচারাধীন অবস্থায় অভিযুক্তদের আর কোনো মানহানিকর বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন।
বলিউড সুপারস্টারের করা দেওয়ানি মামলায় বলা হয়, কেতন কাক্কড়, যিনি মুম্বাইয়ের কাছে পানভেলে অভিনেতার খামারবাড়ির কাছে একটি জমির মালিক, একটি ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারের সময় তার মানহানি করেছেন। মামলায় আরও দুই সাক্ষাৎকারদাতাকেও অভিযুক্ত করা হয়।
তবে পানভেল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় অন্তর্বর্তী আদেশের জন্য দাবাং খানের এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। মুম্বাই সিটি সিভিল কোর্ট গতকাল শুক্রবার বিচারক অনিল এইচ লাদ্দাদ এই আদেশ দেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত কাক্কড়কে তার জবাব দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং ২১শে জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
কিন্তু কাক্কড়দের আইনজীবী অভিযোগের বিরোধিতা করে বলেন, তারা শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলার কাগজপত্র পেয়েছেন এবং পুরো মামলা নিয়ে কাজ করার সময় পাননি। তাই সালমান খান যদি মামলা দায়ের করার জন্য এক মাস সময় নিয়ে থাকেন, তবে কাক্কড়দের জবাব দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় পাওয়া উচিত।
এছাড়াও ভাইজানের আইনজীবী খামারবাড়ি সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর কনটেন্ট পোস্ট বা প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে আদালতে একটি স্থায়ী আদেশ চান।