আন্তর্জাতিক, সাহিত্য

সাহিত্যে নোবেল পেলেন ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক গুরনাহ

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৭ই অক্টোবর ২০২১ ০৫:২৯:৩১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন তানজানিয়ার বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক আব্দুল রাজাক গুরনাহ।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে সুইডিশ একাডেমি সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১১৮তম লেখক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে। সাহিত্যে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান আন্দ্রেস ওলসন বলেন, আব্দুল রাজাক গুরনাহ উপনিবেশ উত্তর লেখকদের মধ্যে অন্যতম।

১৯৯৪ সালে প্রকাশিত গুরনাহর চতুর্থ উপন্যাস ’প্যারাডাইস’-এর জন্য তাকে এ বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার কথা জানায় সুইডশ একাডেমি। ’প্যারাডাইস’ উপন্যাসে তিনি পূর্ব আফ্রিকার সমাজে ভালোবাসা এবং দুঃখের চিত্র তুলে ধরেন।

তার উপন্যাসগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ’প্যারাডাইস’ উপন্যাসটি বুকার এবং হুইটব্রেড পুরস্কারের জন্য বাছাই করা হয়েছিল।
এছাড়াও তার লেখা ’বাই দ্য সি’ (২০০১) এবং ’ডিসার্শন’ (২০০৫) উপন্যাস দুটি বুকারের জন্য দীর্ঘ তালিকায় এবং লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস বুক অ্যাওয়ার্ডের সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাঁর লেখায় বরাবরই ঔপনিবেশিকতার প্রভাব ও শরণার্থী জীবনের সংকটময় পরিস্থিতির কথা উঠে এসেছে অবলীলায়।

১৯৪৮ সালে আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় জন্ম নেয়া আবদুল রাজ্জাক গুরনাহ ১৯৬০ সালে শরণার্থী হিসেবে ব্রিটেনে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি কেন্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজী সাহিত্য এবং পোস্ট কলোনিয়াল স্টাডিজের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তিনি প্রাথমিকভাবে ক্যান্টারবেরির ক্রাইস্ট চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন। সে সময় এই কলেজের ডিগ্রি দিত লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় । এরপর তিনি কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান। সেখানে তিনি ১৯৮২ সালে পিএইচডি অর্জন করেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত, তিনি নাইজেরিয়ার বায়েরো ইউনিভার্সিটি কানোতে লেকচারার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত দুই দশকের মধ্যে গুরনাহ হচ্ছেন প্রথম আফ্রিকান যিনি বিশ্ব সাহিত্যের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারে ভূষিত হলেন। যদিও এর আগে আরও চারজন আফ্রিকান এই পুরস্কার পেয়েছেন।

১৯৮৬ সালে নাইজেরিয়ার নাট্যকার ওলে সোয়িংকা সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি একাধারে নাট্যকার ও কবি। আফ্রিকা থেকে তিনিই প্রথম লেখক যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাকে নাইজেরীয় নাট্যশিল্পের রূপকার হিসেবে ধরা হয়। 

এরপর ১৯৮৮ সালে মিশরের লেখক নাগিব মাহফুজ তার ’কায়রো ট্রিলজি’-এর জন্য নোবেল পুরস্কার পান। এসব উপন্যাসে তিনি ইংরেজ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার সময়কালে মিশরের ঐতিহ্যবাহী শহুরে জীবনধারা ফুটিয়ে তোলেন । 

এছাড়া, ১৯৯১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার লেখক নাডিন গর্ডিমার তার মানবতাবাদী সাহিত্যকর্মের জন্য এবং ঔপন্যাসিক জন ম্যাক্সওয়েল কোয়েৎজি ২০০৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

আরও পড়ুন