জন্মগত বধির শিশুরা কানে শুনতে পাবে; বলতে পারবে কথাও।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর এবার সিলেটেও জন্মগত বধির শিশুদের কানের চিকিৎসা চালু হচ্ছে। এরইমধ্যে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টের অডিওলোজি ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী মাসে অডিও ভারবাল থেরাপী কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে পূর্ণতা পাবে ব্যয়বহুল এই প্রকল্প।
জাতিসংঘের হিসেব মতে, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ২ হাজার ৬শ শিশু বধির হয়ে জন্ম নেয়। দেশে এতদিন জন্মগত বধির শিশুদের চিকিৎসা শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামেই হতো।
এবার, সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল জন্মবধির শিশুদের দেখাচ্ছে আশার আলো। ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টের অডিওলোজী ইউনিট উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হলো নতুন অধ্যায়। যার মাধ্যমে জন্মগত বধিরও শুনবে কানে। বলতে পারবে কথাও।
ব্যয়বহুল এই চিকিৎসাসেবায় বিনামূল্যে অগ্রাধিকার পাবে দরিদ্র পরিবারের অনূর্ধ্ব পাঁচ বয়সী শিশুরা। এরই মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ৪৮টি ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কেনা হয়েছে।
ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, খুব শিগগিরই চালু হবে কার্যক্রম।
অপারেশনের জন্য ডাক্তার ও নার্সরা নিয়েছেন বিশেষ প্রশিক্ষণ। ডিসেম্বরে অডিও ভারবাল থেরাপী কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে শুরু হবে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার বলেন, এজন্য চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পটিকে সিলেট অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর রোগীদের জন্য বড় পাওয়া হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. ময়নুল হক জানান, চিকিৎসার জন্য ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে।
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রমের কর্মসূচি পরিচালক ডা. নুরুল হুদা নাঈম বলেন, জন্মগত বধির শিশুরা আর বোঝা না হয়ে জাতির সম্পদে পরিণত হবে।
ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টের পাশাপাশি নিওনেটাল হিয়ারিং স্ক্রিনিং সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করলে জনগণ আরও উপকৃত হবে; এমন মত চিকিৎসকদের।