জাতীয়, জেলার সংবাদ, ভ্রমণ

সুন্দরবনে ভ্রমণ নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগ নেই  

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৩ই ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৪৩:১৪ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ভ্রমণ নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় পর্যটকদের মাধ্যমে সুন্দরবনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা।

সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারা বছরই লেগে থাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড়। পর্যটকদের কারণে যাতে বনের কোনও রকম ক্ষতি না হয় সেজন্য রয়েছে নীতিমালা। কিন্তু, নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায়, পর্যটকদের মাধ্যমে বনের পরিবেশের ক্ষতির কথা বলছেন সুন্দরবনপ্রেমীরা।

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বাংলাদেশের সুন্দরবন। উপকূলের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এই বনে রয়েছে ৩৩৪ প্রজাতির গাছ-গাছালি। রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ ৩৭৫ প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল এটি। রয়েছে ৩১৫ প্রজাতির পাখ-পাখালিও।

সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য গড়ে উঠেছে ইকো টুরিজ্যম ব্যবস্থা। বন সুরক্ষায় ২০১৪ সালে তৈরি হয় ভ্রমণ নীতিমালা। এতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে ১২ নির্দেশনা। একইভাবে ট্যুর অপারেটরদের জন্য রয়েছে ২১টি আবশ্যিক কর্তব্য। বন বিভাগকে দেয়া হয়েছে ১৩ নীতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব। এরপরও বনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট এন্ড উড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল সাদাত বলেন, 'বিপুল সংখ্যক পর্যটক বড় মেশিনচালিত নৌকায় করে সুন্দরবনের ভিতরে প্রবেশ করে। পর্যটকদের হৈ চৈ বনের পরিবেশ নষ্ট করে। এছাড়া, ময়লা আবর্জনা এবং প্লাস্টিক আবর্জনা সব নদী-খালে ফেলায় পরিবেশ নষ্ট হয়।  এর ফলে, ইকো ট্যুরিজম সুন্দরবনে হচ্ছেই না।'

সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক আবদুল হালিম বলেন, 'অতিরিক্ত পর্যটক সুন্দরবনে প্রবেশ করলে ইকো সিস্টেমের ওপর একটা চাপ পড়ে। এতে, ক্ষতির একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়।'

এদিকে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ট্যুর অপারেটর তৈরির দাবি ট্যুর অপারেটরদের। ট্যুর অপারেটর অব সুন্দরবনের সভাপতি মঈনুল ইসলাম জমাদ্দার জানান, বন বিভাগ এখন অনেক সচেতন হয়েছে। তবে, তাদের আরও কঠোর হয়ে নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবি জানান।

অন্যদিকে, সুন্দরবনের সুরক্ষায় আরও বনরক্ষী নিয়োগের দাবি বন কর্মকর্তাদের।

বন সংরক্ষক (খুলনা অঞ্চল) মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন খান বলেন, 'আমাদের বিভাগে যে শূন্য পদ আছে তার বিপরীতে জনবল নিয়োগ দেয়া হলেই আমরা কাজ চালিয়ে নিতে পারব। তখন সুন্দরবনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার হবে।'

সুন্দরবন ভ্রমণ নীতিমালার যথাযথ প্রযোগের মধ্যে দিয়ে টিকে থাকবে বনের পরিবেশ এমনটা প্রত্যাশা সুন্দরবনপ্রেমীদের।

আরও পড়ুন