সেন্টমার্টিন ভ্রমণে দেয়া হয়েছে বেশকিছু বিধিনিষেধ। এখন থেকে সেন্টমার্টিনে আতশবাজি, বারবিকিউ পার্টি বা উচ্চ শব্দে গান বাজনা নিষিদ্ধসহ পর্যটকদের মানতে হবে ১৪টি নিদের্শনা।
নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে ছেঁড়াদ্বীপেও। এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে কোস্টগার্ড।
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। যার সৌন্দর্য উপভোগে ছুটে যায় হাজার হাজার পর্যটক। কিন্তু পর্যটকদের অবাধ যাতায়াতে সেন্টমার্টিনের অস্তিত্ব ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে। এ কারণে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সরকার।
দ্বীপটিকে প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে বলা হয়- অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন, পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও পরিবেশবিরোধী আচরণে সেন্টমার্টিনের বিরল প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তবে বিধি-নিষেধের সিদ্ধান্তে নাখোশ পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার এর সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, "ঢাকায় বসে প্রজ্ঞাপন জারি করে দিলেন, আর এখানকার যারা নিয়ন্ত্রক, এখানকার যারা স্টেকহোল্ডার বা স্থানীয় তাদের সাথে কোনো আলোচনা হয়নি। এজন্য আমরা পুরোপুরি বিরোধিতা না করলেও আংশিক বিরোধিতা করছি। "
এমন উদ্যোগকে ইতিবাচক মন্তব্য করে কঠোরভাবে বাস্তবায়নের দাবি পরিবেশবাদীদের। কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, "এর আগেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলেও সেভাবে মানা হয়নি। এবার কঠোরভাবে এগুলোর বাস্তবায়ন হোক।"
সেন্টমার্টিনের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় সবাইকে বিধি-নিষেধ মেনে চলার আহ্বান জেলা প্রশাসকের। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, "জীব বৈচিত্র রক্ষায় আমরা মনে করি সবার এ বিধিনিষেধগুলো মেনে চলা উচিৎ ও সহযোগীতা করা উচিৎ।"
পর্যটনের মৌসুমে পর্যটকেমুখর থাকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। প্রতিদিন কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে ৭টি জাহাজে যাতায়াত করেন পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক।