সৌদি আরবে রাজধানী রিয়াদ ও বাণিজ্যিক নগরী জেদ্দাসহ বেশ কয়েকটি শহরে ২৪ ঘন্টা কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার।
মঙ্গলবার (৭ই এপ্রিল) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত রিয়াদ, তাবুক, দাম্মাম, দাহরান, হুফুফ, জেদ্দা, তায়েফ, কাতীফ ও খোবারে পূর্ণকালীন (২৪ ঘন্টা ব্যাপী) কারফিউ ও লকডাউনের নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই সকল অঞ্চল হতে বের হওয়া বা এতে প্রবেশ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
তবে, একান্ত জরুরী চিকিৎসা সেবা, খাদ্যদ্রব্য কেনাকাটা ও ব্যাংকিং সেবার জন্য যার যার নির্দিষ্ট বসতি এলাকার ভেতরে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিতভাবে (সকাল ছয়টা হতে বিকেল তিনটার মধ্যে) বের হওয়া যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্করা বের হতে পারবে। বের হতে হলে প্রতি গাড়িতে ড্রাইভারসহ আরেকজন অর্থাৎ মাত্র দুইজন থাকতে হবে।
শুধুমাত্র মুদি দোকান (গ্রোসারি শপ/তামউইনাত), ফার্মেসি, ফিলিং স্টেশন, ব্যাংক, গ্যাস স্টেশন, সার্ভিস এন্ড মেইন্টেনেন্স প্রতিষ্ঠান, প্লাম্বিং-ইলেক্ট্রিক-এসি টেকনিশিয়ানের কাজে নিয়োজিত, পানি পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত কোম্পানি ছাড়া সকল প্রকার ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
একইভাবে ইতিপূর্বে যাদেরকে কাজের স্বার্থে কারফিউর আওতার বাইরে রাখা হয়েছিলো তারা এসব এলাকায় অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিতভাবে চলাফেরা করতে পারবে। এই নির্দেশনা জনস্বার্থ বিবেচনায় জারি করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেঃ কর্নেল তালাল আল শালহুব জানান, যে কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সেলিব্রিটিও কারফিউর আওতাধীন, তাদেরকেও কারফিউ থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তাই, কোন বিখ্যাত সেলিব্রিটি কারফিউ আইন অমান্য করলে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি সকলকে সর্তক করে বলেন, কারফিউ অমান্য করলে পাবলিক প্রসিকিউশন হিসাবে প্রথমে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা, কারফিউর মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমের ছবি তোলা বা ভিডিও করা হলে ৫ বছরের জেল এবং ৩০ লাখ রিয়াল জরিমানা করা হবে।
এদিকে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মুহাম্মদ আল আবদালি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় (৬ এপ্রিল বিকেল চারটা পর্যন্ত) নতুন করে আরো ১৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাস ১৯৩৪ জনের দেহে সক্রিয় রয়েছে। সবশেষ তথ্যমতে, ২৬০৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশটিতে।