জেলার সংবাদ, অপরাধ, প্রবাস, নারী

স্বামীর খোঁজে ডেনমার্কের তরুণীর অনশন, নির্যাতনের অভিযোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ২৮শে নভেম্বর ২০১৯ ০২:৪০:০৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

স্বামী ও সন্তানের অধিকারের খোঁজে ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন নাদিয়া নামের ২৯ বছর বয়সী এক তরুণী।

৩ দিন কুমিল্লায় তার স্বামী সাইফের গ্রামের বাড়িতে অনশন করলে তাকে মারধর ও প্রতারক বলে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। উৎসুক জনতা ওই তরুণীকে দেখতে ভীড় জমায় সাইফের বাড়িতে। পরে, পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে ইমিগ্রেশনে পৌঁছে দেয়।

নাদিয়ার অভিযোগ, 'প্রায় ১০ বছর আগে তার বিয়ে হয় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আশারকোটা গ্রামের মফিজ মেম্বারের ছেলে সাইফের সঙ্গে। এরইমধ্যে, তাদের কোলে জম্ম নেয় কন্যা সন্তান। যার বর্তমান বয়স ৩ বছর।'

তিনি আরও অভিযোগ করে জানান, 'দীর্ঘ ১০ বছর বিবাহিত জীবনে নাদিয়ার পরিবার থেকে ও তার চাকরির বেতনের টাকা প্রায় ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি, সাইফ দেশে আসবে বলে নাদিয়ার থেকে প্রায় ৫০ হাজার ইউরো নিয়ে গত ৩ মাস আগে বাংলাদেশে আসে। এরইমধ্যে, নাদিয়ার ফেইসবুক আইডি হ্যাক করে রাখে সাইফ। এছাড়া. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে। এই সুযোগে, সাইফ কুমিল্লার কোটবাড়ী এলাকার অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ডেনমার্ক নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে বিয়ে করে। কিন্তু, বিয়ের ২ মাস পার হওয়ার আগেই নাদিয়া সাইফের খোঁজে অবস্থান নেন তার গ্রামের বাড়িতে। পরে, সাইফ আত্মগোপনে চলে যায়।'

এ ঘটনায়, আশারকোটা গ্রামসহ আশে পাশে এলাকায় জানাজানি হলে বিদেশি ওই তরুণীকে দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়। এরইমধ্যে, সাইফের পিতা মফিজ মেম্বার ও তার লোকজন নিয়ে তাকে মারধর করেছেন বলে জানান নাদিয়া।

ওই তরুনীর সঙ্গে বিয়ের কথাটি স্বীকার করে সাইফের মা নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, '১ মাসের জন্য ছুটিতে এসে যেতে দেরি হওয়ায় ছেলের বউ বাংলাদেশে এসেছিলো। বউ নিয়ে সাইফ আবার ডেনমার্ক চলে গেছে।'

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আজিমুল আহসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ওই বিদেশি তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ওই তরুণী সাইফের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, পুলিশ নাদিয়াকে নিরাপত্তা নিয়ে ইমিগ্রেশনে পৌঁছে দেয়।

আরও পড়ুন