অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার বিপদ ডেকে আনতে পারে-কমে যেতে পারে দৃষ্টিশক্তি। স্মার্টফোন ব্যবহারে একটু সতর্ক হলে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
যুক্তরাজ্যের চক্ষুরোগ-চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, মানুষ স্মার্টফোনে এতটাই আসক্ত হয়ে যাচ্ছে যে তাঁরা চোখের সর্বনাশের ঝুঁকি তৈরি করে ফেলছে। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অতিরিক্ত সময় ধরে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট ও ফ্ল্যাট স্ক্রিন টিভি দেখার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন চক্ষুরোগ-বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, যে যন্ত্রগুলো থেকে আলো নির্গত হয় তা চোখের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং মাথাব্যথা হতে পারে।
চক্ষুরোগ-চিকিত্সক অ্যান্ডি হেপওর্থ দাবি করেছেন, মোবাইল চোখের দিকে তাকালে চোখের পলক কম পড়ে এবং স্বাভাবিকের তুলনায় স্মার্টফোন চোখের বেশি কাছাকাছি এনে কোনো বিষয় দেখা হয়। মোবাইল ফোনের আলো চোখের জন্য ক্ষতিকর ও বিষাক্ত হতে পারে। তাই একটানা দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা উচিত নয়।
স্মার্টফোনের আলো থেকে চোখের বাঁচাতে করণীয়গুলো নিচে দেওয়া হলো-
• অ্যান্টি গ্লেয়ার প্রোটেকটর ব্যবহার করুন। এতে চোখের ওপর ক্ষতিকারক ব্লু-রে-এর প্রভাব কম পড়বে। চোখ শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।
• বারবার চোখের পলক ফেলুন। তাতেও চোখে ভিজে থাকবে। আধা ঘণ্টা অন্তর পরিষ্কার পানির ঝাপটা দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন।
• ২০ মিনিট টানা ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে, তার পরে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে ২০ ফুট দূরের কিছুর দিকে তাকান।
• পারলে ফোনের অক্ষরের মাপ বড় করে নিন। তাতে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে। ফোনের ব্রাইটনেসও কমিয়ে রাখুন।
• ফোনের পর্দায় যত ধুলো ও ময়লা থাকে, ততই চোখের ওপর চাপ বাড়ে। তাই ফোনের পর্দা নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
• চোখের একেবারে কাছে ফোন ধরবেন না। অন্তত ১৬-১৭ ইঞ্চি দূরত্ব রেখে ধরুন। তাতেও চোখে কম চাপ পড়বে।
• সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা— যখনই চোখের ন্যূনতম সমস্যা হবে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।