প্রতি বস্তা আলুতে দেড়শ টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের আড়তদারদের।
আলু উৎপাদনে শীর্ষ জেলা মুন্সীগঞ্জ। এবার ৬ উপজেলায় ৩৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৩ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়েছে। হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয় প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার টন আলু। এবার জেলাটিতে খাদ্যশস্যটির ভালো ফলন হয়েছে। তাই হিমাগারে রাখা আলুর দাম মিলছে না। তবে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা।
পাইকারী বাজারে বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা কেজি দরে। কিন্তু উৎপাদন ও হিমাগারে সংরক্ষণসহ খরচ পড়ে কেজি প্রতি ১৭ টাকা। এতে ব্স্তাপ্রতি মজুতদারদের লোকসান দাঁড়াচ্ছে দেড়শ টাকা।
পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের লোকসান না হলেও দুশ্চিন্তায় আছেন হিমাগারে যারা আলু রেখেছেন। গত বছর করোনা পরিস্থিতি আলুর দাম ভাল পাওয়ায় এবারও লাভের আশায় অনেকে আলুর মজুত বাড়ান। তবে এবার ফলন ভালো এবং চাহিদা কম থাকায় লোকসানে পড়েন মজুতদাররা।
তবে, বাজারে দাম ভাল দাম থাকায় কৃষক লাভবান হচ্ছেন বলে জানায় কৃষি বিভাগ। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোরভাবে বাজার তদারকির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন কৃষি কর্মকর্তা।