ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর কয়েকটি প্রস্তাবনা ইসলামবিরোধী, বলছেন খোদ ইসলামি চিন্তাবিদরা।
ভার্স্কয নির্মানকে আবারো ইসলামবিরোধী বলে দাবি করে ৫ টি বিকল্প প্রস্তাবনা দিয়েছে কওমি মাদরাসার শিক্ষক, হেফাজত ও বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতারা। উচ্চস্বরে ওয়াজ মাহফিলের সুযোগ দাবিসহ বিকল্প প্রস্তাবনার বেশ কটি ধারাকে ইসলামবিরোধী বলছেন ইসলামি চিন্তাবিদরা।
শনিবার বৈঠক ডেকে কওমি মাদরাসার শিক্ষক, হেফাজত ও বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতারা ভাস্কর্য নির্মানকে ইসলামে নিষিদ্ধ বলে দাবি করেন।
তবে বৈধ্য কর্তৃপক্ষ ছাড়া এই ধরনের ফতোয়া দেয়ার অধিকার কারো নেই বলছেন আইন প্রনেতারা।
সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু বলেন, মহামান্য আদালত খুব পরিষ্কারভাবে আদেশ দিয়েছে বৈধ কর্তৃপক্ষ ছাড়া কেউ ফতোয়া দিতে পারে না। সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে আমরা মনে করি যেসব রাজনৈতিক মোল্লারা ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রশ্নে ফতোয়া দিয়েছে প্রত্যেকেই আইন লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয নির্মানের প্রশ্নে আপোষে না আসার পরার্মশ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির। একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন,যখনই মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে আপোষ করা হয়েছে তারা সর্বনাশ ডেকে এনেছে। এদ্রকে যত প্রশ্রয় দিবে, তত তারা পেয়ে বসবে। গোটা বাংলাদেশকে তারা ধ্বংস করে দিবে।
৫ দফা প্রস্তাবনায় ওয়াজ মাহফিলে লাউড স্পিকার ব্যবহারের অবাধ সুযোগ চান হেফাজত ও বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতারা। অথচ আলেমরা বলছেন, উচ্চশব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে কারো ঘুম ও কাজে বিঘ্ন ঘটানো ইসলাম সমর্থন করে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উর্দূ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হুসাইনুল বান্না বলেন, ইজায়ে মুসলিম এটি ইসলামের একটি মূলনীতি। এর মানে অন্য মানুষকে কষ্ট দেয়া এটা হারাম। ওয়াজ মাহফিলের নামে চিৎকার করে অন্য মানুষকে যদি আমরা কষ্ট দি তাহলে এটিও আমার জন্য হারাম হবে। অসুস্থ, বৃদ্ধ এবং শিশুদের কথা চিন্তা করেই আমাদের ওয়াজ মাহফিল করতে হবে।
প্রস্তাবনায় আলেমদের বিরুদ্ধে বিষোদগার বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। অথচ কিছু আলেম নামধারী ওয়াজকারীই দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের কটাক্ষ করছে।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, তারা ওয়াজ মাহফিলে বিষেদগার করছে। অশ্লীল, কদার্য ভাষায় তারা কথা বলছে। আমরা যখন জাহানারা ইমামা, কবি সুফিয়া কামালকে নিয়ে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি করি তারা তাদের সম্পর্কেও নানা অশ্লীল কথাবার্তা বলেছে।
প্রস্তাবনার শেষে বলা হয়, উদ্ভুত বিশৃঙ্খলা-অস্থিরতার দায় সরকারকে বহন করতে হবে। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, জরবদস্তি করে সরকারকে সিদ্ধান্ত গ্রহনে বাধ্য করা ইসলাম সমর্থন করে না।