করোনায় খুচরা পযার্য়ে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে মেডিক্যাল অক্সিজেনের। ১২ হাজার টাকার অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকায়।
শ্বাসতন্ত্রের রোগ কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবস্থা জটিল হলে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিতে হয়। ফলে যারা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের অনেকেই ছুটছেন অক্সিজেনের দোকানে। অনেকেই আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে সিলিন্ডার মজুদ করছেন বাড়িতে।
গত ২ মাসে মেডিক্যাল অক্সিজেনের দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে কয়েকশ' গুণ। বিক্রেতারাও সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। উৎপাদনকারীরা ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, সিলিন্ডার আমদানি করতে না পারা এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজি সব মিলিয়েই দাম বেড়েছে অক্সিজেনের।
দুইমাস আগে ১.৩৬ ঘনমিটারের একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি হতো ১২ হাজার টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৬ হাজার ৫০০ টাকায়। দেড় হাজার টাকার ফ্লোমিটার বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন থেকে ৪ হাজার টাকায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব প্রতিষ্ঠান মেডিক্যাল অক্সিজেন উৎপাদন করে তার একটি ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড। চাহিদার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, অক্সিজেন উৎপাদনে আগে যে খরচ হত এখনও তা একই রয়েছে।
প্রতি ঘনমিটার অক্সিজেন হাসপাতালে দেয়া হয় ৪৫ টাকা দামে। খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তা বিক্রি করা হয় ৩৫ টাকায়। বড় সিলিন্ডারের জন্য পরিবহন খরচ ২০ টাকা আর ছোট সিলিন্ডারে ১৪ টাকা, সাথে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। সবমিলিয়ে যে দাম আসে তারচেয়েও অনেক বেশি রাখা হচ্ছে খুচরা দোকানগুলোতে।
মেডিক্যাল অক্সিজেনের দাম বৃদ্ধিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।