বাংলাদেশ, অর্থনীতি, বিশেষ প্রতিবেদন, কৃষি

১৬ মাস পর চীনে যাচ্ছে কাঁকড়া ও কুঁচিয়া

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ৩১শে আগস্ট ২০২১ ১০:০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

পণ্যে দূর্ষণের কারণে চীনে বন্ধ হওয়া কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রপ্তানি আবার শুরু হয়েছে। ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী এই খাত। ভবিষতে রপ্তানি পণ্যের গুনগত মান ঠিক রাখতে কাজ করছে মৎস্য অধিদপ্তর।

 আর্ন্তজাতিক বাজারের কয়েকটি দেশে কাকড়া ও কুচিয়ে রপ্তানী হলেও ,চাহিদা ও বাজার দর ভাল থাকায় চীনই এখন  প্রধান রপ্তানিকারক দেশ।

মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর ৩৩৮.৮৮ কোটি টাকার কুঁচিয়া ও কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে। ১৯-২০ অর্থ বছরে ৩১৯.১৭ কোটি, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে যা দাঁড়ায় ৩২৭.০৬ কোটি টাকা।

কিন্তু ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে চীনে রপ্তানিকৃত কাঁকড়ায় ক্যাভনিয়াম ও কুঁচিয়ায় হরমন দুর্ষণ ধরা পরায় বন্ধ হয়ে যায় রপ্তানী। প্রধান বাজার চীনে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পরেন এই থাতের সাথে জড়িতরা। তারা জানান,'চীনে কাঁকড়া বন্ধ করে দেয়ার পর আমরা বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছি। দামও ভালো না। চীনে ধারাবাহিকভাবে যদি বিমান চলাচল থাকতো তবে আমাদের এই দুর্দিন থাকতো না।'

চীনে রপ্তানি বন্ধ হওয়ার পর নরে চরে বসে মৎস্য অধিদপ্তর। এই দূর্ষণমুক্ত করে চীনের শর্ত মেনে ৫ টি প্রতিষ্টানের রপ্তানীতে অনুমোদন মিলেছে । বাংলাদেশ কাঁকড়া সরবরাহকারী সমিতির সদস্য বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ বলেন,'৯০ থেকে ৯৫ ভাগ কাঁকড়া যায় চায়নায়। কাঁকড়া আবারও গেলে আমরা আবার সুন্দরভাবে ব্যবসা করতে পারবো। এতে কোন সমস্যা নাই। এখন শুধুমাত্র বিমান সমস্যা। ফ্লাইট এভেইলএবল হলে আমাদের আর কোন সমস্যা নাই।'

দেশের তিনটি আর্ন্তজাতিক মানের ল্যাবে পরীক্ষা নিরিক্ষার মধ্যে দিয়ে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা মৎস্য পরিদর্শক ও মাননিয়ন্ত্রক উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ নিয়াজ উদ্দিন জানান,'১২টা প্যাকিং সেন্টারকে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় কয়েকটিকে অনুমোদন দিয়েছে। বিএসিসি অথরিটি যদি অনুমোদন করে তবে আরও কিছু প্যাকিং সেন্টার তালিকাভুক্ত হবে এবং তারা প্যাকিং এর সুযোগ পাবে।'

আরও পড়ুন