বাংলাদেশ, সাক্ষাৎকার

২০০১ সালে নির্বাচনের পরে নির্যাতিতা পূর্ণিমা রানী শীল

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ১৭ই অক্টোবর ২০২০ ০১:০৪:০২ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় নির্তাতিত সিরাজগঞ্জের পূর্নিমা রানী শীল। 

পূর্ণিমা রানী শীল ডিবিসি নিউজের নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানের অতিথী হয়ে এসে তুলে ধরেন নিজের উপর ভয়াবহ নির্য়াতনের কথা। চিকিৎসা ও বিচারের পেতে নানা বাধার কথা জানান তিনি।

অথের্র প্রলোভন দেখিয়ে মামলা তুলে নেয়াসহ তাকে দেশছাড়া করতে তৎকালীন সরকারের নানা চেষ্টার কথাও জানান তিনি। পূর্ণিমা রানী শীল বলেন,'বিএনপি-জামায়াত সরকারের মদদেই কিন্তু সারা দেশে সহিংসতা-ধর্ষণের উৎসব চলেছিল। তখন কিন্তু আমাদের পাশে কেউ ছিল না। আমার বাবা-মা অসহায় হয়ে কেবল চোখের জল ফেলেছে। সমাজে আমাদের ঘৃণার চোখে দেখা হতো। আমাকে আদালতে যেতে দেয়া হয়নি। থানায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। হাসপতালে থাকতে দেয়া হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা বলেছিলেন মা মিথ্যে কখনও জয়ী হতে পারে না। তুমি কি ওদের দেয়া তিন লাখ টাকা নিয়ে বিদেশে চলে যাবে নাকি তুমি যুদ্ধ করতে পারবে?'

প্রভাবশালীরাই এসব ঘটাচ্ছে দাবি পূর্ণিমার। তিনি বলেন,  নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে আইনের পাশাপাশি পরিবর্তন করতে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার। পূর্ণিমা রানী শীল বলেন,'দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করাটাই হচ্ছে বড় কথা।'

নির্যাতিতাদের চুপ না থেকে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান পূর্ণিমার রানী শীলের। তিনি জানান,'যে নারীরা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের উচিত রাস্তায় এসে সত্যি কথা বলা। মুখ খোলাটাই বড়।'

ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতাদের চুপ না থেকে প্রতিবাদ গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নির্যাতিতা পূর্ণিমা রানী শীল। পরিবার ও সমাজকে নির্যাতিতাদের পাশে থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তুলে ধরেন, নিজের উপর ভয়াবহ নির্য়াতনের কথা।  চিকিৎসা ও বিচার পেতে নানা বাধার কথাও জানান তিনি।

নির্যাতিতাদের চুপ না থেকে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।  বলেন, পবিবার ও সমাজকে নির্যাতিতদের পাশে থাকতে হবে। রাজনীতি ও আইন পেশার প্রতিষ্ঠিত হয়ে নারীদের পক্ষে কাজ করতে চান পূর্ণিমা রানী শীল। তিনি বলেন,'ভিকটিম হয়ে আমি ভিকটিমদের নিয়ে কাজ করতে চাই।'

আরও পড়ুন