করোনার ধাক্কা সামলে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজে আবারও গতি ফিরেছে।
প্রতি মাসে শেষ করতে হবে কমপক্ষে ৪ শতাংশ কাজ। তাহলেই স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে, দেশের মানুষের মেট্রোরেলে চড়ার স্বপ্ন সত্যি হবে। করোনার ধাক্কা সামলে আবারও গতি ফিরেছে নির্মাণ কাজে। তাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি আশা করছে, নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে সব প্রস্তুতি। সেক্ষেত্রে আগামী বছরের ডিসেম্বরে, মেট্রোরেলে, উত্তরা থেকে মতিঝিল যাওয়া যাবে মাত্র ৩৫ মিনিটে।
একেকটি স্টিল কলাম উঠছে, স্বপ্নের আরও কাছে যাচ্ছে মেট্রোরেল প্রকল্প। মাটি থেকে প্রায় ১৩ মিটার ওপরে মেট্রোরেলের শুরু উত্তরা থেকে। তিনটি স্টেশন থাকবে এখানে। ৪ নম্বর স্টেশনের দোতলায়, বিরাট হলরুম। নাম কনকোর্স হল। সিঁড়ি, এস্কেলেটর, লিফটে চড়ে কনকোর্স হল থেকে টিকিট কাটবেন। প্লাটফর্ম। আরেক তলা ওপরে।
স্টেশনে দৃষ্টিসীমার পুরোটা জুড়েই এখন মেট্রোরেলের কাঠামো। প্রকৌশলীরা জানান, ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য এখন ১১ কিলোমিটার ছুঁইছুই। ৩ নম্বর স্টেশনে রেল লাইনও বসেছে। অপেক্ষা শুধু ট্রেনের। এই পথই যাত্রীদের পৌঁছে দেবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। শেষ গন্তব্য মতিঝিল।
মেট্রোরেল প্রকল্পের উপ প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা স্টেশন ১৮০ মিটার করে লম্বা, ৩৩ মিটার থেকে শুরু করে ২৬ মিটার পর্যন্ত প্রশস্ত। স্টেশনে যত ধরণের সর্বাধুনিক সুবিধা থাকা প্রয়োজন, তার সবই রাখা হয়েছে। উন্নত বিশ্বের স্টেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমি এটি তৈরি করেছি।
উত্তরা তৃতীয় পর্ব হতে আগারগাঁও অংশের পূর্তকাজ প্রায় ৭৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে কাজ হয়েছে সাড়ে ৪৫ শতাংশ। দেশের প্রথম মেট্রোরেলের রুট এমআরটি ৬ লাইনের গড় অগ্রগতি ৫২ শতাংশ।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, আমাদের প্রথম পর্যায়ের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি স্টেশনগুলো যদি আগে করা যায় তাহলে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। সেজন্য আমরা ফার্মগেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মতিঝিলের কাজ একত্রে শুরু করেছি। বাকী যে তিনটি স্টেশন থাকবে এটা যখন কনকোর্স লেভেল পর্যন্ত চলে যাবে, তখন আমরা অবশিষ্ট যে তিনটি স্টেশনের কাজ বাকী আছে সেগুলোর কাজ শুরু করবো।
ভোর ৫টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। তারপর বিশ্রামের জায়গা উত্তরার ডিপো। ৫৯ একর এলাকা জুড়ে ডিপোতে তৈরি হয়েছে ৫২টি ভবন। ছাউনির নিচে মেরামত কারখানা। স্টেশন থেকে ট্রেনের আসা যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রেললাইনও।