মার্চেন্টদের প্রায় দু'শো কোটি এবং গ্রাহকদের ৩শ' ১১ কোটি টাকা দেনা রেখে গ্রেপ্তার হলেন ইভ্যালির সিইও এবং চেয়ারম্যান।
এই টাকা এখন কীভাবে ফেরত পাওয়া যাবে, সেই সুরাহা করবে আদালত। এমনটাই জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আর ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে সরকারের কঠোর নজদারির তাগিদ দিয়েছে এই খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বেসিস।
যেসব মার্চেন্টের কাছ থেকে পণ্য নিয়েও টাকা পরিশোধ করেনি, তাদের কাছে ইভ্যালির দেনা ১৯০ কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানিটির এ হিসাব দিয়েছিল। আর ইভ্যালির তথ্য অনুযায়ী, দুই লাখ ৮ হাজার গ্রাহকের কাছে প্রতিষ্ঠানটির দেনা ৩১১ কোটি টাকা।
ইভ্যালির কর্তাব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের খবরে ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিক্ষুব্ধ পাওনাদাররা। প্রশ্ন একটাই, রাসেল-নাসরিন জেলে গেলে তাদের পাওনা মেটাবে কে?
এই প্রশ্নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জানান, এখন ব্যাপারটির মীমাংসা করবে আদালত। ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, যেহেতু তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেহেতু এখন সব কিছু আদালতের উপর নির্ভর করছে। তাই কোন রকম আলোচনা ছাড়া এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত হবে না।
আর ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বেসিস বলছে, ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানের কারণে এই খাতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
বেসিস সভাপতি আলমাস কবির বলেন, ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির প্রতি গ্রাহকদের যাতে কোন প্রকার অনাস্থা সৃষ্টি না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে যে এ বিষয়ে নীতিমালা এবং দিক নির্দেশনা ঠিক করেছে। আমরা যদি এসব নীতিমালা অনুযায়ি কাজ শুরু করি তাহলে খুব দ্রুতই গ্রাহকদের আস্থা আবার ফিরে আসবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা সম্পদ ও দায়ের হিসাবে, ইভ্যালির মোট দায় ৫৪৪ কোটি টাকা। বিপরীতে তাদের চলতি সম্পদ মাত্র ৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।