আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের কয়েকটি সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

৫ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ইয়েমেনি সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে তারা ইসরায়েল-বিরোধী একটি নতুন অভিযান চালিয়েছে, যেখানে তারা একাধিক ওয়ারহেড যুক্ত হাইপারসনিক 'ফিলিস্তিন ২' ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে অধিকৃত ইয়াফা অঞ্চলের বেশ কয়েকটি সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী বৃহস্পতিবার রাতে জানায়, গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা এবং ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের জবাবে এই অভিযান চালানো হয়।

 

ইয়েমেনি বাহিনী লোহিত সাগর ও আরব সাগরে থাকা বা চলাচলকারী সকল বেসামরিক ও সামরিক সংস্থা এবং জাহাজকে তাদের পরিচয় ও অবস্থান জানাতে আহ্বান জানিয়েছে। বাহিনী জোর দিয়ে বলেছে, দেশের প্রতিরক্ষা এবং গাজাকে সমর্থন জানাতে তারা আরও তীব্র গতিতে অভিযান চালাবে। 

 

তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ না হওয়া ও অবরোধ তুলে নেওয়া না হলে, পরিচয় না দেওয়া জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে এবং এর সম্পূর্ণ দায় তাদেরই নিতে হবে।

 

এই নতুন অভিযানটি এমন এক সময়ে এলো, যখন ইসরায়েলি আগ্রাসনে ইয়েমেনের রাজধানী সানার আবাসিক এলাকা ও বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে আটজন নিহত এবং ১৪২ জন আহত হয়েছিলেন।

 

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ভয়াবহ গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকে, ইয়েমেনি বাহিনী ইসরায়েলে সামরিক সম্পদ সরবরাহ ব্যাহত করার জন্য একটি কৌশলগত সামুদ্রিক অবরোধ কার্যকর করেছে। পাশাপাশি তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে।

 

ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, ইসরায়েল গাজায় স্থল ও আকাশপথে আক্রমণ বন্ধ না করা পর্যন্ত তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা কমপক্ষে ৬৫,২০৮, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

 

তথ্যসূত্র মেহের নিউজ এজেন্সি

 

ডিবিসি/এমইউএ

আরও পড়ুন