নতুন মার্কিন শুল্ক নীতি দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই নীতিতে কৌশলগত মিত্র ভারতের ওপর ট্যারিফ বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে, অন্যদিকে পাকিস্তানের বেলায় সেটি ১৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে ভারতের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে পোশাক ও অলংকার শিল্পের সাথে জড়িতরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। দর-কষাকষির মাধ্যমে শুল্ক কমবে বলে তারা আশা করেছিলেন, কিন্তু শুল্ক বৃদ্ধির ফলে তাদের পণ্যের বিক্রি এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে। এর ফলে বহু মানুষের জীবিকা হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিপরীতে, মার্কিন শুল্ক নীতি পাকিস্তানের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এই স্বস্তির পাশাপাশি ইসলামাবাদ বড় ধরনের বিনিয়োগের সুখবরও পেয়েছে। গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, পাকিস্তানের বিশাল তেল সম্পদ উন্নয়নে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কোম্পানি পাকিস্তানের জ্বালানি, তথ্য-প্রযুক্তি ও খনিজ খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে, যা দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বাণিজ্য চুক্তি ও শুল্ক হ্রাস পাকিস্তানের জন্য একটি বিশাল ইতিবাচক পদক্ষেপ।
এই নীতি পরিবর্তন ভারত-মার্কিন সম্পর্কে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। 'কোয়াড' জোটের অন্যতম অংশীদার হিসেবে ভারত দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকার 'স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার' হিসেবে পরিচিত। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার পূর্বঘোষিত ‘প্রকৃত বন্ধুত্বের’ সম্পর্কেও ফাটল ধরিয়েছে।
ডিবিসি/এফএইচআর